বোলপুর: অবশেষে জয় হল বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার। সেই নির্দেশের ৪৮ ঘন্টা পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিঠি দিল দুই বহিষ্কৃত ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ-কে। চিঠি দেওয়া হয়েছে এক ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকেও। তাঁদের ক্লাসে ফিরতে বলা হয়েছে। এই খবরে খুশির হাওয়া বিশ্বভারতীতে।
আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা চিঠি দেন বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালক শংকর মজুমদারকে। শেষপর্যন্ত তাঁদের ক্লাসে বসার অনুমতি মিলল। বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ এবং অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধানকেও চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত তিন ছাত্র ছাত্রীর পড়াশোনা করার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই তিন জনকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিশ্বভারতী।
বহিস্কৃতদের ক্লাসে ফেরানোর চিঠি
বহিস্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। বিভিন্ন নাগরিক সমাজ সংগঠন থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল সকলেই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ায়। পড়ুয়াদের অভিযোগ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য হওয়ার পর থেকে বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ শুরু হয়েছে। রবি ঠাকুরের তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোদ রবীন্দ্রনাথকেই বহিরাগত বলেছেন তিনি। জড়িয়েছেন একের পর এক বিতর্কে। এ সবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা। এরপরই উপাচার্য তিন ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারের চিঠি ধরান।
বিশ্বভারতীর গেটে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত হল উৎসশ্রী পোর্টালের গেজেট নোটিফিকেশন
পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। সেই মামলায় বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বা বাইরে কোনও আন্দোলন কর্মসূচি চালানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবস্থান মঞ্চের প্যান্ডেল খুলে নেন আন্দোলনরত অধ্যাপক, পড়ুয়ারা। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস করতে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সেই নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টা পর ক্লাস করার অনুমতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল বিশ্বভারতী বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে আন্দোলন প্রত্যাহার বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের