জলপাইগুড়ি: ফের অনুমতি মিলল ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে (Dooars Forest) বন ফায়ার (Bonfire) ও সাউন্ড বক্স বাজানোর। পরিবেশ রক্ষা (Environment) ও বন্যপশুর (Wild Animal) শান্তিভঙ্গকারী এই সিদ্ধান্তে একশ্রেণির মানুষ খুশি হলেও বেজায় ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। চলতি বছরের ৫ মে ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্টে একাধিক বিধিনিষেধ এনেছিল বন দফতর (WB Forest Dept)। এবার কিছু নিয়ম শিথিল করা হল। বন দফতরের এই নতুন নির্দেশিকার ফলে স্বস্তি পেলেন হোটেল-রিসর্ট মালিকরা। এমনকী তাঁদের দাবি, যাঁরা ডুয়ার্সে ঘুরতে আসেন, তাঁদের কাছে কিছুটা হলেও আনন্দের খবর।
পূর্বে বন দফতরের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংরক্ষিত বন সংলগ্ন এক কিমি এলাকার মধ্যে সমস্ত হোটেল-রিসর্টে বন ফায়ার বা ক্যাম্প ফায়ার নিষিদ্ধ। এছাড়াও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলো, লেজার এবং সাউন্ড বক্স বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরিবেশ সুরক্ষায় বন দফতরের এই নির্দেশের ফলে হতাশ হয়েছিলেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: G 20: জি ২০ সম্মেলনের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাছা হয়েছে বাংলার মোট চারটি স্থান
এমনকী দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন হোটেল-রিসর্ট মালিকরাও। তবে গত ৫ ডিসেম্বর বন দফতরের পক্ষ থেকে নতুন এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। নতুন নির্দেশিকায় কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে সাউন্ড বক্স বাজানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল, সেই জায়গায় একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।। সেখানে রিসর্টে মাইক বা সাউন্ড বক্স বাজানোর ক্ষেত্রে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বন ফায়ার বা ক্যাম্প ফায়ারের ক্ষেত্রেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্ষীণ আলোয় বন ফায়ার বা ক্যাম্প ফায়ার রাত ৮টা পর্যন্ত করা যেতে পারে।
বন দফতরের এই নতুন নির্দেশিকায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটকরা। তবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলো, লেজার এগুলির ব্যবহার বন্ধ থাকছে। নতুন নির্দেশিকায় ব্যবসায়ী মহল খুশি হলেও এর ফলে পরিবেশ ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। কারণ, কোনও বনাঞ্চলেই উচ্চৈস্বরে গানবাজনা, বন ফায়ার করা উচিত নয়। এর ফলে বনের পশুপাখিদের অসুবিধা হয়।
এছাড়াও শুকনো ডালপালার জায়গায় অনেক সময় গাছপালা কাটারও অভিযোগ ওঠে। আগুন জ্বালানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যায়। যাকে গ্রিন গ্যাস দূষণ বলে। এ নিয়ে এখন গোটা বিশ্ব দুশ্চিন্তায় রয়েছে। কীভাবে গ্রিন গ্যাস দূষণ কমানো যায়, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিশ্বনেতারা। সেখানে ডুয়ার্সে পর্যটন মরশুম শুরু হতেই এহেন সিদ্ধান্তে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে পশুপাখিকুলে।