বিষ্ণুপুর: সোমবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। আগামিকাল মঙ্গলবার তাঁকে চিঠি দেবে রাজ্য বিজেপি৷ সোমবার সন্ধেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই জানিয়েছেন৷ তন্ময় ঘোষের রাজনৈতিক অবস্থান জানতেই চিঠি দেওয়া হবে বলে তিনি বলেছেন৷ একই সঙ্গে তন্ময়ের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দাবি তোলা হবে৷ তারপর, আগামী সোমবার তন্ময়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে বিধানভা অধ্যক্ষের কাছে চিঠি করা হবে বলেও শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন৷
আরও পড়ুন- আর্থিক দুর্নীতি মামলা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ ইডির
শুভেন্দুর অভিযোগ তন্ময় ঘোষকে ভয় দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন৷ যাতে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়৷ শুধু তাই নয়, তন্ময় ঘোষের একাধিক ব্যবসা রয়েছে৷ সেই বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাই, ব্যবসা বাঁচাতে তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। যাতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো জেলে না যেতে হয়। গত চার মাসে বিধায়ক তন্ময় ঘোষের চলাফেরা সন্দেহ জনক ছিল বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। দলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি। বিষ্ণুপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে কেউই এক ভোটে হলেও জিতবে বলে দাবি করেছেন৷
আরও পড়ুন- শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে আর আড্ডা মারার বাধা রইল না বুদ্ধদেব গুহের
এ দিক তৃণমূলে যোগদানের পর বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, বিজেপি ফাঁকা গলায় বেশি আওয়াজ দেয়। বুথ স্তরে সংগঠন বলে কিছু নেই ওদের। ২০০ আসন পাবে না অনেক দিন আগেই বুঝে গিয়েছিল। বিজেপির টিকিটে যারা জিতেছে নিজেদের ক্যারিশ্মায় জিতেছেন। এতে দলের কোনও ভূমিকা নেই। জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। বাঙালি অধিকার, ঐতিহ্য কোনও কিছুকেই ওরা সম্মান দিতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ছিলেন ব্যবসায়ী তন্ময়। বিধানসভা ভোটের আগে আচমকা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পরদিনই বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি, অভিযুক্ত অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
রাজ্যের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তন্ময়। তাঁর কথায়, সারা বাংলা জুড়ে বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চলছে। বিধানসভা ভোটে জোরপূর্বক বাংলা দখলেও চেষ্টা করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে ভয় দেখানোই এদের কাজ। বাঙালিদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের ঐতিহ্যকেও নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। এর বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ। সারা বাংলায় দলমত নির্বিশেষে সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বলব, সবাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরুন।