সুন্দরবন: বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ২৬ টি গ্রাম সভার মধ্যে ১৬ টি গ্রাম সভায় ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বাকি ১০ টি গ্রাম সভায় অবশ্য ভোট হবে ৮ জুলাই। সেই ভোটের জন্যই তৃণমূলের পাঁচ মহিলা প্রার্থী (Women Candidates) একযোগে প্রচারে (Campaign) নেমেছেন। সোমবার ন্যাজাট ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার প্রার্থী হেনা দাস মাহাত, বীণা সর্দার, টুম্পা কর্মকার ,পূর্ণিমা প্রধান এবং সোমা সরকার বেদনি নদীর বুকে প্রচার চালালেন। ভুটভুটির মাঝি-মাল্লা থেকে শুরু করে যাত্রীদের গুড়-বাতাসা, জল খাইয়ে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন তাঁরা।
ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। বিভিন্ন নির্বাচনে তৃণমূল প্রচুর সংখ্যক মহিলাকে প্রার্থী করে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এবারের ভোটে। হেনা, বীণা, টুম্পারা বলেন, আগামিদিনে আমরাই হব পঞ্চায়েতের হাতিয়ার। রাজ্য সরকারের যে সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে, প্রচারে তাঁরা সেগুলিও তুলে ধরেন। পাশাপাশি, ন্যাজাট ও কালীনগরের মাঝে বেতনি নদীর উপর সেতু নির্মাণের ব্যাপারেও প্রার্থীরা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। বেতনি নদীর উপর এই সেতু বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি। এদিন মহিলা প্রার্থীদের এই প্রচারে ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court | খাল কেন পরিষ্কার হয়নি, পঞ্চায়েত সচিবকে তলব আদালতের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বারবার মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। দলীয় এবং প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত কাজকর্মে মহিলাদের এগিয়ে আসার বার্তা দেন। সোমবারও কোচবিহারে এক নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মা-বোনেরা পাশে থাকলে আমি অনেক ভরসা পাই।বিজেপি যদি গুন্ডামি করতে আসে, তাহলে মা-বোনেরা হাতা-খুন্তি হাতে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী নিজে তো এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে থাকছেনই। পাশাপাশি দলের একাধিক মহিলা মন্ত্রী এবং নেতাকে জেলায় জেলায় প্রচারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।