করোনা পরিস্থিতিতে সমতলে যেমন মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছি, তেমনই উপত্যকায় আনাগোনা বেড়েছে জঙ্গিদের। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের সুযোগ নিয়ে কাশ্মীরে শক্তি বাড়াচ্ছে জঙ্গিরা। সন্ত্রাসহীন কাশ্মীর গড়ে তোলার লক্ষ্যে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রবিবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকল।
আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ স্কুল ভেঙে বেলজিয়ামে মৃত ৫
সপ্তাহের শুরুতেই বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বারমুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে তিন সন্ত্রাসবাদী। সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ একথা জানিয়েছে। নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডান্ট মুদাছির পণ্ডিত।
জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের গন্ডবার্থ এলাকায় রবিবার রাতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। রাতভোর চলা এনকাউন্টারের পর তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে বাহিনী।
আরও পড়ুন: সবরমতী নদীর জলে করোনার উপস্থিতি
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার টুইট জানিয়েছেন, ৩ জন পুলিশ, ২ জন কাউন্সিলর ও ২ জন নাগরিকের হত্যার সঙ্গে জড়িত লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডান্ট মুদাছির পণ্ডিত সোপোরের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই বাহিনী তার খোঁজ চালাচ্ছিল। এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে বাহিনী। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এর আগে বুধবার জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। ঙ্গলবার গভীর রাতে শ্রীনগরের নওগামের ওয়াগুরা এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ পঞ্চায়েত সদস্যর
সেই লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গির নাম উজায়ের আশরাফ দার। সে সোপিয়ানের বাসিন্দা ছিল। তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়।