নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। বাকি বাদল অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক। মঙ্গলবার মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি হয় তৃণমূল সাংসদের। এরপরই বেলা ১২টা পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
দিনের গোড়াতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে গোটা বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করলেও তা হচ্ছে না। ভোটিং অন মোশন না হওয়ায় ডেরেকের সাসপেনশন লাগু হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সোনিয়া হাসিতে ফেটে পড়লেন লোকসভায়, ছেলে-জামাই নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপি এমপির
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের আগেই এদিন সকালে বিজেপি সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয়। সেখানে মোদি উপস্থিত সাংসদদের বলেন, আমরা শেষ বলে ছক্কা মারব। তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মোদি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোট যে অনাস্থা এনেছে, সেটা ওদের একটা কর্মসূচি। কিন্তু, এটাই আমাদের কাছে একটা সুযোগ, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত ও পরিবারবাদী রাজনীতি থেকে মুক্ত করার যে স্লোগান এনডিএ নিয়েছে, তা থেকে আমরা সরব না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধীদের জোট হল পারস্পরিক অবিশ্বাসে জর্জরিত।
ইন্ডিয়া জোটকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে মোদি আরও বলেন, এনডিএ-র শক্তি কতটা তা গতকালই রাজ্যসভায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিল পাশকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলেও মন্তব্য করেন মোদি।