বীরভূম: বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ঘোষ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৭ নাম্বার বুথে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। বুথ লুঠপাঠের অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারও।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে বুথের মধ্যে প্রবেশ করে। তারা প্রিসাইডিং অফিসারদের সামনেই ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেগুলি কিছু ফেলে দেওয়া হয় পুকুরের জলে। কিছু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভোট কর্মীরা বুথ ছেড়ে পালিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
কেশপুরের দূরপ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে চলছে ছাপ্পা ভোট। ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রের খবর ওই ব্যক্তি তৃণমূলের নেতা বলেই পরিচিত। নাম রঞ্জিত রানা। ভোটার দিন কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে কীভাবে এই কান্ড তিনি ঘটাচ্ছেন তা জানতে এক সাংবাদিক এগিয়ে আসা মাত্রই তাঁকে দেখে চম্পট দেন ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু প্রিসাইডিং অফসারের উপস্তিথিতে কীভাবে ঘটলো এমন একটা ঘটনা তা জানতে চাওয়া হলে, বলতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল প্রিজাইডিং অফিসার কেও।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ভোট কেন্দ্রে নেই কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এক এনভি এফ কর্মী ও এক সিভিক পুলিশকে দিয়ে ভোট হচ্ছে এই কেন্দ্রে। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে চলছে ভোট গ্রহন।
এদিকে অন্য এক ছবি উঠে আসল ভোটের দিনই। নির্বাচনী প্রতীক পাল্টে গেল এক নির্দল প্রার্থীর। অভিযোগ আমের বদলে গাড়ির প্রতীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অফিসার। এমনকী সেই নির্দল প্রার্থীকে ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল নির্বাচনী প্রচার সারার জন্য। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এর ৩৩ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী শবনম বিবি আম চিহ্নে দাঁড়িয়ে ছিলেন।ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা দেখেন ব্যালট বক্সে আম চিহ্ন নেই। রয়েছে গাড়ির প্রতীক। স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা বুঝতে পারেন না কোন চিহ্নে ভোট দেবেন তাঁরা। নির্দল প্রার্থীকে ভোট না দিয়েই অনেকে বেরিয়ে আসেন বাইরে। ঘটনা জানাজানি হতে প্রার্থী শবনম বিবি যান প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে। উত্তরে অফিসার তাঁকে ১ ঘন্টা সময় দেন গাড়ি চিহ্নে প্রচারের জন্য। কিন্তু তা মেনে নেননি নির্দল সমর্থকরা। বুথের বাইরেই অফিসারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রার্থী সহ তাঁর অনুগামীরা।