কাবুল: উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের পঞ্জশির উপত্যকায় কখন যে কী হচ্ছে বোঝাই মুশকিল৷ তালিবান দাবি করছে, তারা প্রতিরোধ বাহিনীকে খেদিয়ে দিয়ে পঞ্জশিরের দখল নিয়েছে৷ সেই আনন্দে কাবুলের রাস্তায় নেমে গুলি বৃষ্টিও করে তালিব যোদ্ধারা৷ তালিবানের দাবি উড়িয়ে দেয় মাসুদ বাহিনী৷ হুঙ্কার দিয়ে সালেহ-মাসুদ জানান, পঞ্জশির দখল করা অত সহজ নয়৷ শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তারা মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে৷
এই দাবি এবং পাল্টা দাবি চলছেই৷ শনিবার রাতে জানা যায়, পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে ৬০০ তালিবান জঙ্গি৷ হাজারের বেশি তালিব যোদ্ধাকে বন্দি বানানো হয়েছে৷ অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে৷ কয়েকঘণ্টা যেতে না যেতেই উল্টো কথা শোনা গেল৷ তালিবান দাবি করে, পঞ্জশির উপত্যকার পাঁচটি জেলা দখলে নিয়েছে তারা৷ জঙ্গি সংগঠনের কালচারাল কমিশনের আনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, ‘এখন আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশ আফগানিস্তানে রয়েছি৷ খুব তাড়াতাড়ি নতুন সরকার ঘোষণা করা হবে৷’
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানে মৃত বহু, তালিবানকে দায়ী করলেন ইমরান
আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে যেমন নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের তেমন পঞ্জশিরের দিকেও৷ তাই তালিবানের নতুন দাবির পর আবার জল্পনা ছড়ায়৷ প্রশ্ন ওঠে সত্যিই কী পঞ্জশিরের পতন হল? ঠিক তখনই সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়৷ তাতে দাবি করা হয়েছে, এটা পঞ্জশিরের ঢোকার মুখে জায়গা গুলবাহার৷ যা এখন তালিবানমুক্ত৷ কোথাও জঙ্গি সংগঠনের পতাকা নেই৷ জঙ্গিদেরও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এখনও পর্যন্ত এখানে কোনও গরিলা যুদ্ধ হয়নি৷ অনেক জঙ্গির মৃত্যুর হয়েছে৷ যদিও ভিডিওর সত্যতা খতিয়ে দেখেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল ডেস্ক৷ অর্থাৎ ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল৷