কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ পাশের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা৷ কোথাও রাস্তায় নেমে অবরোধ তো কোথাও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ৷ অকৃতকার্যদের অভিযোগ, বিনা কারণে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পড়ুয়াদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে শিক্ষকদের একাংশ৷ মার্কশিটে গড়মিলের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন প্রশাসন৷ সূত্রের খবর, অবিলম্বে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ সংসদকে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের ‘সূর্যাস্ত’, রাজ্য বিজেপিতে কার যুগ!
জেলায় জেলায় যখন পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছে তখন নবান্নে ডাক পড়ে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের৷ স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর৷ ফল প্রকাশকে ঘিরে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল তা জানতে চাওয়া হয় সংসদ সভাপতির কাছে৷ সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছেও কৈফিয়ত দিতে হয় মহুয়া দাসকে৷ এর পরই সংসদকে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় নবান্ন৷ সেই নির্দেশের পরই পড়ুয়াদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহুয়া দাস৷ পড়ুয়াদের অসন্তোষের কারণ সংসদকে জানানোর নির্দেশ প্রধান শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হবে৷
আরও পড়ুন: প্রকাশিত আইসিএসই-আইএসসি পরীক্ষার ফল, পাশের হার প্রায় ১০০ শতাংশ
২২ জুলাই উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হয়েছে৷ পরীক্ষা না হওয়া সত্ত্বেও ৯৮ শতাংশ পড়ুয়া এবার পাশ করেছে৷ তবে যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা এই রেজাল্ট মেনে নিতে পারেনি৷ কীসের ভিত্তিতে ছেলে-মেয়েদের ফেল করানো হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা৷ তার পর থেকে দুই বঙ্গের একাধিক স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ৷ পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হওয়ায় রাস্তা অবরোধ করে তারা৷ মালদহ থেকে খড়গপুর, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে দুর্গাপুর, মধ্যমগ্রাম থেকে সল্টলেক- জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ৷ হরিহর পাড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অকৃতকার্যরা৷
আরও পড়ুন: অক্সিমিটার সহ ৫ চিকিৎসা সামগ্রীর দাম বেঁধে দিল এনপিপিএ
ক্ষোভ প্রকাশ করে পড়ুয়ারা জানিয়েছে, পরীক্ষা দিয়ে ফেল করলে আলাদা কথা৷ কিন্তু বিনা কারণে ফেল করানো হয়েছে৷ ঠিক মতো মূল্যায়ন হয়নি৷ তাদের দাবি, সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রত্যেক পড়ুয়ার উপযুক্ত প্রাপ্ত নম্বর দিতে হবে৷ না হলে আন্দোলন থেকে কিছুতেই তারা সরে দাঁড়াবেন না৷ সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি হয়েছে মাধ্যমিক, একাদশের বার্ষিক এবং দ্বাদশের প্রাক্টিক্যাল বা প্রজেক্টের নম্বরের ভিত্তিতে৷ বিক্ষোভরত অনেক পড়ুয়ার দাবি, মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় তাদের ভালো ফলাফল হয়েছিল৷ সেই ভিত্তিতে মার্কশিট তৈরি হলে কিছুতেই ফেল করার কথা নয়৷ পড়ুয়াদের মতো মার্কশিটে গড়মিলের অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷