নয়াদিল্লি: এবার থেকে পালস অক্সিমিটার কিংবা নেবুনাইজার আর কিনতে হবে না অত্যধিক মূল্যে। দাম বেঁধে দিল জাতীয় ফার্মাসিউটিকল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিএ (NPPA)। পাঁচটি অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য ট্রেড মার্জিনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এই সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় সরকার গত ১৩ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিল করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত যন্ত্রগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এদিনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে যন্ত্রের দাম কমানো হয়েছে। এই নতুন মূল্য নির্ধারিত চিকিৎসা সামগ্রীগুলি গত ২০ জুলাই থেকেই বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। তালিকায় রয়েছে পালস অক্সিমিটার, ব্লাডপ্রেশার মাপার যন্ত্র থেকে শুরু করে নেবুলাইজার, ডিজিটাল থার্মোমিটার আর গ্লুকোমিটারও।
আরও পড়ুন: কোভিড ঠেকাতে প্রতি সপ্তাহে সংসদ অফিসারদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা
করোনার জন্য বেশ কিছু মেডিক্যাল জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা রেহাই দিতেই যন্ত্রের দাম বেঁধে দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। সেই নির্দেশিকা মেনে এনপিপিএ জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রিত করল। ৬৮৪ টি পণ্য বা ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ আর ৬২০ টি পণ্যের ক্ষেত্রে দাম কমেছে প্রায় ৯১ শতাংশ। ২০৯ টি পালস অক্সিমিটার প্রস্তুতকারক সংস্থার মধ্যে ১৮৯ টির দাম কমেছে। ২১৬ টি ব্লাড প্রেশার মাপার যন্ত্রের মধ্যে দাম কমেছে প্রায় ১৯৫ টির। নেবুলাইজার ১৩৭ টির মধ্যে ১২৪ টির দাম কমেছে। ডিজিটাল থার্মোমিটারের বানায় ৮৮ টি সংস্থা। তাঁর মধ্যে দাম কমেছে ৮০ টির। ৩৪ টি গ্লুকোমিটারের মধ্যে ৩২ টির দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৪ হাজার বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ
এই নির্দেশিকা যাতে মানা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে এনপিপিএ। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই সিদ্ধান্তে জনসাধারণের অনেক সুরাহা হবে।