কলাবুরাগি (কর্নাটক): শত চেষ্টাতেও মেয়েদের উপর হামলা আজও রোখা যায়নি। বাসে, রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত তো হতেই হয়। এছাড়াও, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলার মতো ঘটনাও আকছার ঘটে চলেছে। এর জন্য মহিলা পুলিশ বাড়ানো স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়েও ‘বেটি বাঁচাও’ সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু, এবার হয়তো তা হবে। বেশ কিছুদিন আগে লঙ্কা গুঁড়োর স্প্রে বেরনোর পর এবার ধর্ষণ-রোধী জুতো (Anti-rape Shoes) আবিষ্কার করল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। কথাটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি! কীভাবে, শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে সকলের।
আরও পড়ুন: S Jaishankar Slams Pak: ঘরের পিছনে সাপ পুষবেন না, প্রতিবেশীকে না মেরে মালিককেও ছোবল দিতে পারে
কর্নাটকের (Karnataka) কলাবুরাগি এলাকার বিজয়লক্ষ্মী বিরাদার (Vijaylakshmi Biradar) স্থানীয় এসআরএন মেহতা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে আবিষ্কার করে ফেলেছে এমন এক জুতো, যা সহজেই ধর্ষণের মতো অপরাধ ঠেকাতে পারবে। ধর্ষণরোধী এই জুতো মেয়েদের ষড়যন্ত্রকারী, রোমিওদের হাত থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, বিজয়লক্ষ্মীর এই জুতো কীভাবে দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে পারে।
কীভাবে কাজ করে এই জুতো?
বিজয়লক্ষ্মী জানায়, যখন কোনও দুষ্কৃতী বা কুমতলবকারী মেয়েদের দিকে তাক করবে, তখন মেয়েটিকে এই জুতো পায়ে তার গায়ে লাথি কষাতে হবে। তাতেই কুপোকাত হবে বদমাশ। অবাক হচ্ছেন! এই জুতোয় বিশেষভাবে রয়েছে বিদ্যুৎ। আর তাতেই বিদ্যুতের শক লেগে দুষ্কৃতী ছিটকে পড়বে ধরাতলে। বিজয়লক্ষ্মী জানাল, ব্যাটারির মাধ্যমে এই জুতোয় রয়েছে বিদ্যুৎশক্তি। যার ফলে মেয়েরা সহজেই রক্ষা পাবে বড় বিপদের হাত থেকে।
এছাড়াও এই জুতোয় রয়েছে ইনবিল্ট জিপিএস সিস্টেম (GPS System)। যার ফলে এই জুতো পরে ঘোরাফেরা করলে কিংবা বিপদের সময় অন করলে অভিভাবকদের কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে। শুধু তাই নয়, মেয়েটির লাইভ লোকেশনও দেখা ও জানা যাবে।
এই জুতো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিজয়লক্ষ্মীর শিক্ষিকা জানান, ও এটা নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে। তখন ও সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি আরও বলেন, এর জন্য ও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছে। এই প্রজেক্ট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য সম্প্রতি বিজয়লক্ষ্মী গোয়ায় একটি আন্তর্জাতিক ইনভেনশন অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে পুরস্কারও পেয়েছে।