নয়াদিল্লি: পেগাসাস ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বাদল অধিবেশনে নিত্যদিন আড়ি পাতা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। সেই পেগাসাস নিয়ে পরে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার দ্বিতীয় শুনানি ছিল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম শুনানি হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে।
আরও পড়ুন- নিজের শোকজ রুখতেই কী দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য ?
পেগাসাস কাণ্ডে তদন্ত চেয়ে প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার, রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস এবং আইনজীবী এম এল শর্মা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। এডিটর্স গিল্ডও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা ও বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছে এই মামলা।
আরও পড়ুন- সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা, বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তর থেকে দক্ষিণ
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার প্রথম শুনানির দিনে প্রধান বিচারপতি সমগ্র ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ”মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য সত্যি হলে তা গুরুতর।” প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মানুষের ফোনে বা অন্দরমহলে আড়ি পাতা ভয়ানক বিষয়। যা ইজরায়েল থেকে কেনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ছরে চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা মহিলা এখন দিনমজুর
অভিযোগ উঠেছে যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মোবাইল আড়ি পেতেছে মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কাজ মানূষের বাক স্বাধীনতায় আঘাত করার সমতুল। সেই সঙ্গে আড়ি পাতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারকেও খর্ব করে। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া পিটিশনে এমনই অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন- অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা মহিলা এখন দিনমজুর
বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে যে সরকার জানিয়ে দিক ওই সফটওয়্যার কেনা হয়েছিল কিনা। যা নিয়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ্রাহুল গান্ধী। প্রায় সেই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কপিল সিব্বলের মুখে। প্রথম শুনানির দিন তিনি আদালতে সওয়াল করেন, “সরকার জানাক কত টাকায় ওই সফটওয়্যার কেনা হয়েছিল? আর সেই হার্ড ডিস্ক কোথায় আছে?”