কলকাতা: শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই সর্বভারতীয় স্তরে দলের প্রসার ঘটানোর ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার নির্দেশে দলের শীর্ষ নেতারা ভিনরাজ্যে সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের একাধিক শহরে পার্টি অফিস খুলেছে তৃণমূল। ত্রিপুরাতেও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুন: মমতায় অনুপ্রাণিত সমাজকর্মী সাকেত গোখলে, যোগ দিলেন তৃণমূলে
অন্য দলের নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টরা তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন তথ্যের অধিকার আন্দোলনের কর্মী সাকেত গোখেল। সাউথ অ্যাভিনিউতে দলের সদর কার্যালয়ে সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং যশবন্ত সিনহা উপস্থিতিতে হাতে দলের পতাকা তিনি। আদতে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা সাকেত মূলত আরটিআই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘আগে কখনও সক্রিয় রাজনীতি করিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই বাদল অধিবেশনেও সংসদে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে তৃণমূল। আজ থেকে এই লড়াইয়ে আমিও সামিল হলাম।’ দলে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই তাঁকে বড় পদ বসাতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির জেরে রেললাইনে ধস, বন্ধ ট্রেন চলাচল
সূত্রের খবর, শীঘ্রই দলের নয়া সর্বভারতীয় মুখপাত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাকেতের নাম ঘোষণা করা হবে। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের কেউ এই প্রথম দলের মুখপাত্র পদ পেতে চলেছেন। এর ফলে সর্বভারতীয় স্তরে দলের বার্তা পৌঁছনো সহজ হবে। এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিংহ তৃণমূলে যোগ দিয়ে বড় পদ পেয়েছিলেন।
৩৩ বছরের সাকেত এক সময় কংগ্রেসের ডিজিটাল সেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে অবশ্য কংগ্রেসে সংস্রব ত্যাগ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে ৩০০ মানুষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাকেত। যা তাঁকে যথেষ্ট পরিচিতি দেয়। যদিও সেই মামলা পরে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।