কলকাতা: রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম বঙ্গ এসেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। আগামিকাল বেলুড় মঠে (Belur Math) যাবেন তিনি, রয়েছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) যাওয়ার কর্মসূচিও। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাজভবন (Rajbhaban) থেকে সকাল ৮.৪৫ নাগাদ বেরিয়ে যাবেন রাষ্ট্রপতি। ৯টার দিকে পৌঁছে যাবেন বেলুড় মঠে। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চলে যাবেন একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বেলুড় মঠ চত্বর।
সকাল ৯টা পর্যন্ত বেলুড় মঠে থাকার পর ব্যাঙ্কের কর্মসূচিতে যাবেন তিনি। সেই ব্যাঙ্কটির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত হবেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। ওখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে চলে যাবেন তিনি। বেলা ১২টা নাগাদ সেখানে পৌঁছবেন তিনি। যোগ দেবেন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্রভবন, কলাভবন এবং কবিগুরুর আশ্রম। তাঁর সামনে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চস্থ করবেন নাটক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সূচনাও করবেন তিনি। বিকেলে আসবেন কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। দু’দিনের বাংলা সফরশেষে তাঁকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান।
আরও পড়ুন: Festival Bonus Increases | সরকারি কর্মীদের উৎসব বোনাস বাড়াল রাজ্য
প্রসঙ্গত, সোমবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবন (Netaji Bhawan) এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটে জোড়াসাঁকো ঠাকুবাড়ি (Jorasanko Thakur Bari) ঘুরে দেখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে এদিন শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। রাষ্ট্রপতি দুপুর ১২ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে (Calcutta Airport) এসে নামেন। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এখান থেকে তিনি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে এসে পৌঁছন রেসকোর্সে। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ও রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রেসকোর্স থেকে সড়কপথে দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমে আসেন নেতাজি ভবনে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দুপুর ১টা নাগাদ নেতাজি ভবন ঘুরে দেখেন তিনি। নেতাজির ব্যবহৃত ও বিভিন্ন স্মারক, ছবি মন দিয়ে দেখেন। কিছু কিছু ব্যাপারে সাগ্রহে জানতে চান। কিছুক্ষণ সেখানে সময় কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নেতাজির পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কয়েকটি বই উপহার দেন। যা পেয়ে অত্যন্ত খুশি রাষ্ট্রপতি।