ইসলামাবাদ: স্বাধীনতা দিবসের আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হল ওই দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে। যার জেরে ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। জখমও হয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- টিকার আকাল, রবিবার সন্ধ্যে থেকে লম্বা লাইন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে
রবিবার রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের দক্ষিণের শহর কোয়েটাতে। বালোচিস্তানের অন্তর্গত ওই শহরে এর আগেও অনেক বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে এই এদিনের ঘটনা ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সবকিছুকে। ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটেছে কোয়েটা শহরে। তিন ঘন্টার মধ্যে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটেছে।
আরও পড়ুন- হিন্দু ধর্মকে বিপদে ফেলেছে শিবসেনা, দাবি বিজেপি বিধায়কের
প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটেছে কোয়েটা শহরের জনপ্রিয় সেরেনা হোটেলের পাশে। আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে দুই জন পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে জখম হয়েছেন আরও ২১ জন। জখমদের মধ্যে আট জন পুলিশের কর্মী। জখম অনেকেরই অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আহত এবং নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রথম বিস্ফোরণে তিন ঘণ্টা পরে ঘটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। কোয়েটা শহরের সারইয়াব রোডের উপরে অবস্থিত একটি বাস টার্মিনাল ছিল জঙ্গিদের লক্ষ্য। সাদা বাহার নামক ওই বাস টার্মিনালে বেশ জনসমাগম হয়ে থাকে। সেই কারণেই ওই জায়গাটিকে টার্গেট করে জঙ্গিরা। গ্রেনেড দিয়ে হামলা করা হয় ওই বাস টার্মিনাসের একটি দোকানে। এই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের তীব্রতা বালোচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
আরও পড়ুন- অখিলেশের ‘আব্বাজান’ মুলায়ম, হিন্দুত্ব নিয়ে সপা সুপ্রিমোকে খোঁচা যোগীর
চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকা। সাদা বাহার বাস টার্মিনাসে যে দোকান লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে সেখানে জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছিল। ছোট-বড় নানান সাইজের পাক জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছিল। সেই ছোট গুমটি দোকান লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
পাক সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করে হয়েছে যে এই জোড়া বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। দুই বিস্ফোরণের দায় ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে পাক মিডিয়া। বালোচিস্তান নিয়ে বিরোধ নতুন নয়। স্বাধীনতার সময় থেকে পাকিস্তানের থেকে পৃথক হতে চায় বালচিস্তান। এই নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে। অনেক আন্দোলনকারীদের উপরে পুলিশের নির্যাতনের অভিযোও সামনে এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বালোচদের।