বীরভূম : হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের ভিতর নিরাপত্তার জন্য তিন জন সশস্ত্র কনস্টেবল নিয়োগ করল বীরভূম জেলা পুলিশ।
শুক্রবার আদালতের নির্দেশ পেতেই তৎপর হয়ে বোলপুর পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়ের নির্দেশে শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশিস মল্লিকের নেতৃত্বে এক বিরাট পুলিশ বাহিনী প্রবেশ করে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে। প্রবেশ করেই বিক্ষোভকারীদের সমস্ত পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ব্যারিকেড। তারপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে তিন জন কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হয়।
ক্যাম্পাস থেকে সরানো হচ্ছে ব্যারিকেড ৷ নিজস্ব চিত্র ৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের দফতর-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তালা ঝোলানো নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের মধ্যে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছিল। এদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই সেই সমস্ত তালা ভেঙে ফেলে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে এসপি নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “আদালতের নির্দেশ আমরা পেয়েছি। সেই নির্দেশ মতোই স্থানীয় থানার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।”
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে, বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের অভিযোগ নিজেরা তালা ঝুলিয়ে পড়ুয়াদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিশ্বভারতী মামলায় ক্যাম্পাসে কোনওরকম বিক্ষোভ প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। টানা বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে আটকে থাকা সমস্ত কর্মীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর ভিতরে যে সমস্ত প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা রয়েছে, সেগুলি শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এসডিপিও নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল টিমকে ফিরিয়ে দিলেন ‘অসুস্থ’ বিশ্বভারতীর উপাচার্য
উল্লেখ্য, তিন পড়ুয়া বরখাস্তের জেরে বিগত কয়েক দিন ধরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তাঁর বাসভবন ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এমন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দু’দফায় দেখতে আসেন বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসনের মেডিক্যাল টিম। কিন্তু পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হয় তাঁদের।
যদিও এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি উপস্থিতির পর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গিয়েছে ৷