নয়াদিল্লি: তালিবানের আশ্বাসে স্বস্তিতে নেই নয়াদিল্লি৷ আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের অবস্থান কী হবে- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল-সহ একাধিক আধিকারিক৷ সূত্রের খবর, আপাতত, আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবসহ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতির অধীনে, নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাব নেই যে আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে কোনও দেশকে হুমকি বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে ব্যবহার করা হবে না।
তালিবানদের দখলে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে নাগরিক সরানোর আজ ৩১ অগস্ট মঙ্গলবার শেষ দিন। সোমবার রাতে, মার্কিন বাহিনী কাবুলের বিমানবন্দর ত্যাগ করে৷সেখান থেকে ১২৩,০০০ বেশি মানুষ কবুল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- যুবতীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বীরভূমে গ্রেফতার রেল পুলিশ
২৬ অগস্ট আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করেছিল৷ সেই বৈঠকে বলা হয়, দোহায় আলোচনার সময় তালিবানরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এই চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির পদত্যাগের বিনিময়ে দুই পক্ষের মধ্যে দুই সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-নজরে শিক্ষার ‘বিশ্বায়ন’, সিলেবাস পরিবর্তনের ভাবনা রাজ্যের
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আফগান জনগণের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদীবন্ধুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে। জয়শঙ্কর বলেন,”আমরা বেশিরভাগ ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছি … সকলকেই নয়।আমরা অবশ্যই সবাইকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। আমরা একটি ই-ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছি এবং সরকার সম্পূর্ণভাবে নির্বাসন নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।