নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের (Congress) সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে আয়কর দফতর। গত সপ্তাহে কংগ্রেসকে নোটিস পাঠিয়ে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবর্ষের হিসেব চায় আয়কর। ১৬ ফেব্রুয়ারি দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন (Ajay Maken) জানান, তাঁদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ শানালেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ নেতারা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge), অজয় মাকেন। সোনিয়া বললেন, কংগ্রেসকে পঙ্গু করার ‘সিস্টেমেটিক’ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল বললেন, ভারত পৃথিবীর সবথেকে বড় গণতন্ত্র, এই ধারণা মিথ্যে।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রথম বক্তা ছিলেন খাড়্গে। তিনি বলেন, আসন্ন লোকসভা ভোটের সময় মিডিয়া এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে শাসকদলের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা উচিত নয়। বিজেপির (BJP) ব্যয় দেখুন, বিজ্ঞাপনেও ওদের একাধিপত্য, সে সংবাদপত্র হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া। ওদের আধিপত্য সব জায়গায়। বিজেপি যা খরচ করে তার ১০ শতাংশও খরচ করতে পারছে না বিরোধী দলগুলি। বিভিন্ন সংস্থা থেকে বিজেপি কীভাবে টাকা নিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাই না, আমি চাই নির্বাচন হোক ন্যায্য ও অবাধ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইল রামদেবের পতঞ্জলি
খাড়্গে আরও বলেন, বিজেপি কখনওই নিজেদের টাকার হিসেব দেয়নি। সভাপতির দাবি, বিজেপি চায় না কংগ্রেস নির্বাচন লড়ার অবস্থায় থাকুক। যে সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে তা অবিলম্বে খুলতে হবে।
LIVE: Press briefing by CPP Chairperson Smt. Sonia Gandhi ji, Congress President Shri @kharge and Shri @RahulGandhi at AICC HQ. https://t.co/ZfYNcfWjbf
— Congress (@INCIndia) March 21, 2024
মাকেন বলেন, ৩০ বছর আগের হিসেব তুলে আনা হয়েছে এবং আমাদের অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছে যাতে নির্বাচনে লড়তে না পারি। যে অর্থ আমরা সংগ্রহ করেছি, আমাদের দলের কর্মীরা সংগ্রহ করেছেন তা গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করতে পারছি না। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র?
মাকেন আরও বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দল কর ছাড়ের সুবিধা পায়, তাহলে কংগ্রেসের উপর তা চাপানো হল কেন? মনে হচ্ছে বিজেপি নির্বাচন আসার অপেক্ষা করছিল। দেশের প্রধান বিরোধী দলই যদি তাদের ফান্ড না ব্যবহার করতে পারে, তাহলে গণতন্ত্র আর বেঁচে রইল কোথায়? এটা কংগ্রেসের একার লড়াই নয়, বরং সমগ্র দেশের।
শাসকদলকে সবথেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদের সহযোগিতা করতে পারছি না, আমাদের প্রার্থীদের সহায়তা করতে পারছি না। আমাদের নেতার এমনকী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ট্রেন ধরতে পারছেন না। এটা ঠিক নির্বাচনের আগে করা হল। গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করতে কিছু প্রতিষ্ঠান দেশে রয়েছে, কিন্তু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অপরাধ নিয়ে তাদের মুখে কোনও কথা নেই। ভারত সবথেকে বড় গণতন্ত্র এই ধারণাই মিথ্যে।
দেখুন অন্য খবর: