ইসলামাবাদ: পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিলেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি৷ তারপরই পাক সরকার জানিয়ে দিল, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে৷ বিরোধীদের দাবি মেনে ইমরান খান কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাননি৷ বরং সংসদ ভেঙে নির্বাচন এগিয়ে আনতেই চেয়েছিলেন৷ এদিনের ঘটনার গতিপ্রকৃতি বলে দিচ্ছে, সেই দিকেই এগোচ্ছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি৷
রবিবার বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি ছিল৷ সকলেই একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন, আজই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে শেষ দিন ইমরানের৷ কিন্তু শুরু থেকেই ইমরান বারবার একটাই কথা বলে আসছিলেন৷ তিনি শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন৷ কারণ তিনি জানেন, ক্রিকেটে শেষ বলেও ঘুরে যায় খেলা৷ ক্রিকেটের সেই শিক্ষা কাজে লাগল রাজনীতির ময়দানে৷ সবাই ধরে নিয়েছিলেন ভোটাভুটির পরই ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হবে ইমরানকে৷ বরং বিরোধীদের লাস্ট বলে ক্লিন বোল্ড করে দিলেন সুইং সুলতান৷ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেট অধিনায়কের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার৷ তাতেই গদি বেঁচে যায় ইমরানের৷ আপাতত নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি৷
আরও পড়ুন: Imran Khan: পাক সংসদে অনাস্থার উপর ভোটাভুটি স্থগিত, আপাতত গদি বাঁচল ইমরানের