নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)। এই দু’টি শব্দে এখন গোটা দুনিয়া মজে। এতদিন যা ছিল কল্পবিজ্ঞানের গল্পকথা (Science Fiction Stories), আজ তা বাস্তব (Reality)। সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটা রোজকার বিষয়ে পরিণত হবে। সোজা ভাষায় বললে, ইন্টারনেট (Internet) যখন প্রথম এই দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিল, সে সময় তাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা রোমাঞ্চ মেশানো আগ্রহ ছিল। এখন তা নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল বিষয়টাও তেমনই হবে। কিন্তু এটাই কি শেষ কথা? না…
আরও পড়ুন: Adani Groups | আদানি: একটি আশ্চর্য উত্থানের রূপকথা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন শেষ করে দেবে সমাজকে (Society), ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে (Humanity)। সমাজকে শেষ করে দেওয়া কিংবা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেওয়ার যে সম্ভাবনার (Possibility) কথা বলা হচ্ছে, তা কি শ্রেফ হলিউডে (Hollywood) দেখা টার্মিনেটর (The Terminator) মুভি সিরিজের গল্পের মতো হবে? সম্ভবত হ্যাঁ, আবার সম্ভবত না। বিষয়টা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। সবই সম্ভাবনা, সবই কল্পনা…
চাকরি (Job)। পেশা (Occupation)। এই বিষয়টাই গোটা দুনিয়াকে পরিচালিত করে। বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনেদের বক্তব্য, চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) মতো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence – AI) বহু মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে। এআই টুলস (AI Tools) একদিন রক্ত-মাংসের তৈরি মানুষের পরিবর্ত (Replacement) হিসেবে উঠে আসবে। যার খাওয়ার (Eating) প্রয়োজন নেই, বিশ্রামের (Rest) প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই ঘুমানোরও (Sleep)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে এই তিনটি বিষয়ে পিছনে ফেলে দেবে। একনাগাড়ে কাজ করার পাশাপাশি, ক্লান্তিজনিত (Tiredness) কারণে কাজের গতি কমারও ঝক্কি নেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে। শুধু দরকার অফুরন্ত এনার্জি সোর্স (Endless Energy Source)। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং (Quantum Computing) এখনও কল্পবিজ্ঞান আর বাস্তবের মাঝপথে দাঁড়িয়ে। তবে অনেকে এখন থেকেই বলতে শুরু করেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যখন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে (Quantum Computer) চলবে, তখন প্রযুক্তির অগ্রগতি কল্পনাতীত (Beyond Imagination) হবে।
অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে আর দরকার লাগবে না। কাজের বাজার আসতে আসতে কেড়ে নেবে প্রযুক্তি (Technology)। গোল্ডম্যান স্যাকস (Goldman Sachs) বলেছে, চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলস (AI Tools) ৩০০ মিলিয়নেরও (৩০ কোটি) বেশি ব্যক্তির চাকরি কেড়ে নেবে আগামী দিনে। সম্প্রতি ওপেনএআই (OpenAI) সংস্থার তৈরি চ্যাটবটের (ChatBot) চতুর্থ সংস্করণ বাজারে এসেছে। এটি আপগ্রেডেড ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (Upgraded Language Model)। পোশাকী নাম জিপিটি-৪ (GPT-4)। তার দাবি, সে ভবিষ্যতে বর্তমানে বিদ্যমান ২০টি পেশায় মানুষের বদলি হিসেবে উঠে আসবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), ইউরোপ মহাদেশের (Europe) বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তার এই অনুমানমূলক দাবির কথা শুনিয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম এক ধরন জেনারেটিভ এআই (Generative AI), সে অরিজিনাল কন্টেন্ট (Original Content) তৈরি করতে সক্ষম, যেমন- ইমেজ, মিউজিক কিংবা টেক্সট (Image, Music or Text)। বর্তমানে এরকম একডজন অ্যাপ রয়েছে, যা ইউজারের জন্য টেক্সট এবং ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম। সম্প্রতি মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট (US Tech Giant – Microsoft) ওপেনএআই-এর তৈরি ডাল-ই (Dall-E) তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিং (Bing)-এ যুক্ত করেছে। এই ডাল-ই হলো ইমেজিং ক্রিয়েটিং টুল (Image Creating Tool)।