কলকাতা: শেক্সপিয়র সরণির বৃদ্ধাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তেমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ পুলিশের অনুমান সোমবার রাত ১২টার পরেই বৃ্দ্ধাকে খুন করা হয়েছে৷ ওই সময় ফ্লাটে আর কে কে ছিলেন তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ৷
বহু তলের ফ্লাটে সোমবার রাতে বৃ্দ্ধার ছেলে সোমবারে ছিলেন বলেও অনুমান করা হচ্ছে৷ কারণ, তিনি রাতে মায়ের সঙ্গে দেখা করেননি, সকালে লং টেনিস খেলে মায়ের ঘরে গিয়ে বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখেন৷ তাহলে কি তিনি সকালে ফ্লাটের দরজা লক করেননি? প্রতিদিন সাকলে পরিচারিকা বৃদ্ধাকে খেতে দিতে যেতেন৷ তাহলে মঙ্গলবার সকালে ফ্লাটে যাননি? এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে৷ তাই, বৃদ্ধার ছেলে ছাড়া সোমবার রাতে আর কে কে ফ্লাটে ছিলেন তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন-চার কেন্দ্রে ভরাডুবির পর ‘দিশাহীন’ সাংবাদিক সম্মেলন বিজেপির
এ দিকে বৃদ্ধা রেণুকা চৌধুরী গা থেকে খোয়া গিয়েছে নেকলেস, হাতের চুড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন। আততায়ী কি জানত এই ঘরে কেউ থাকবে না? তাহলে আততায়ী কি চেনা কেউ, যে গলা শোনা মাত্রই বৃদ্ধা দরজা খুলে দিয়েছিলেন। উঠছে নানা প্রশ্ন।
শেক্সপিয়র সরনিতে থিয়েটার রোডে এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম রেনুকা চৌধুরী (৯১)। একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। মঙ্গলবার সকালে ছেলে মর্নিং ওয়াকে যান। ফিরে এসে দেখেন তাঁর মায়ের রক্তাক্ত দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। ছেলে অভয় চৌধুরীর বয়ান অনুযায়ী, ঘরের দরজা খুলে তিনি ঢুকে দেখেন তাঁর মা পড়ে রয়েছেন। নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। বিছানা লন্ডভন্ড। মাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছেলের।
ওই সময়ের আশপাশে আবাসনে কে ঢুকেছিলেন, কে বেরিয়েছিলেন, সেটা রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে, বৃদ্ধাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করার প্রমাণ মিলিছে।