নয়াদিল্লি/পাটনা: বিহারে লাইনচ্যুত ডবল ইঞ্জিন সরকার৷ মঙ্গলবার নীতীশ কুমার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই দু’বছরের মাথায় ভেঙে গেল জেডিইউ-বিজেপির জোট সরকার৷ অথচ মাত্র দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল নীতীশের৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘চিন্তার কিছু নেই৷’ ঠিক ৪৮ ঘণ্টা বাদেই ডিগবাজি খান তিনি৷ এরপর থেকেই নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতক বলে তোপ দাগা শুরু করেছে বিজেপি৷
বুধবার বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীল মোদি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দু’দিন আগে অমিত শাহ ফোন করেছিলেন নীতীশ কুমারকে৷ নীতীশ তখন বলেছিলেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ প্রধানমন্ত্রীও গত দেড় বছরে অনেকবার নীতীশের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কিন্তু তিনি একবারও কোনও অভিযোগ জানাননি৷’ বিজেপি জোট বাঁচানোর সব চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেন সুশীল মোদি৷ যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংয়ের কথায় স্পষ্ট, নীতীশকে নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল৷ তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের পর থেকেই বিজেপির অনেকেই নীতীশকে বোঝা মনে করতে শুরু করেন৷ তাঁরা চেয়েছিলেন, বিজেপি নির্বাচনে একাই লড়ুক৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অন্য সিদ্ধান্ত নেন৷’
যদিও ন’বছরে দু’বার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ায় রাজনীতিতে নীতীশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷ ২৪-এর লোকসভা ভোট বা ২০২৫-এর বিধানসভা ভোটের আগে নীতীশ আবার অবস্থান বদল করবেন না এমনটা জোর গলায় বলতে পারছেন না আরজেডি এবং কংগ্রেসের নেতাদের একাংশ৷ একই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও৷ তিনি বলেন, ‘৬-৮ মাস বাদে নীতীশ কুমার আবার জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? নীতীশ কুমারকে বোঝা খুব কষ্টকর৷ আমরাও রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করি৷ কিন্তু তাঁর মতো ঘন ঘন শিবির বদলাই না৷ ছ’মাস অন্তর যাঁরা রাজনৈতিক শিবির বদলাতে চান তাঁদের কাছে মার্গদর্শক হয়ে উঠেছেন নীতীশ কুমার৷’