কলকাতা: সল্টলেকের বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী মহেশ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ (NIA)। মাওবাদীদের অর্থ জোগানোর অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে এনআইএ-র একটি দল সল্টলেকে এসে মহেশকে গ্রেফতার করে (NIA arrest jharkhand businessman)।
মহেশ আগরওয়াল আধুনিক পাওয়ারের প্রাক্তন এমডি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। গ্রেফতারের পর মহেশ আগরওয়ালকে কোথায় রাখা হয়েছে, তা গোপন রেখেছে এনআইএ।
মহেশ আগরওয়াল ছাড়াও আরও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাওবাদীদের অর্থায়ন সংক্রান্ত মামলাটি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের। প্রধান বিচারপতি ডক্টর রবিরঞ্জন এবং বিচারপতি এসএন প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন : PM CARES Fund: পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকা কোথায়, ফের সরব বিরোধীরা
ঝাড়খণ্ড আদালত মহেশ আগরওয়াল-সহ তিন ব্যবসায়ীর গ্রেফতারিতে আগে স্থগিতাদেশ দিলেও হাইকোর্ট মঙ্গলবার সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নেয়। তার পরেই ঝাড়খণ্ড থেকে এনআইএ-র একটি টিম সল্টলেকে এসে মহেশ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে।
সূত্রের খবর, এনআইএ-র আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের এই ব্যবসায়ী। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান মহেশ। এই ব্যবসায়ীকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে ঝাড়খণ্ডে যাবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অভিযুক্ত আরও দুই ব্যবসায়ী হলেন অমিত আগরওয়াল এবং বিনীত আগরওয়াল।
মহেশ-সহ তিন জনের বিরুদ্ধেই মগধ আম্রপালি প্রকল্পে জঙ্গি সংগঠনকে টাকা জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এনআইএ তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্তে নামে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ নেই। অভিযোগ ঠিক নয়। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন আর এক অভিযুক্ত সুদেশ কেদিয়া।
আরও পড়ুন : Kolkata HC: কয়লাকাণ্ডে ইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, তদন্তকারীদের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ
মগধ ও আম্রপালি প্রকল্পে কয়লা লোডিং এবং খনির জন্য কাজ করা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন টিপিসিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তা নজরে আসার পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই মামলার তদন্ত শুরু করে।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তিন জনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ নতুন করে বাড়ায়নি। ফলে, তিন জনেরই আদালতের রক্ষাকবচ আর না-থাকায়, গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিলই। আইনি বাধা না-থাকায়, মহেশ আগরওয়ালকে আদালতের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।