কলকাতা: ১ জানুয়ারির সন্ধ্যা না কি ৩১ ডিসেম্বরের রাত। পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেনপার্ক (Allen Park) দেখে বোঝার উপায় নেই। সান্তা টুপি পড়ে রংবেরংয়ের পোশাকে হইচইয়ের একই ছবি দেখা গেল রবিবারও। যাকে বড় দিনের পার্ক স্ট্রিট (Park Street) ভেবে ভুল হতে পারে। এদিন ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে মাতোয়ারা রাজ্যবাসী। দিনের পর সন্ধ্যাতেও (Evening) খুশিতে মাতোয়ারা নগরবাসী (Citizen)। কলকাতা থেকে জেলা সব জায়গায় এক ছবি। চীনা (China) করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্তের কথা ভেবে বেশ কিছু জায়গায় মাস্ক (Mask) পড়তে সচেতনও করা হয়েছিল। কিন্তু, কাকস্য পরিবেদনা। ফেস্টিভ (Festive) মুডে শুধুই উদযাপন (Celebration)। সারা বছর ছুটে চলার রসদ সংগ্রহের জন্য ওয়ার্ম আপ করে নেওয়া।
কলকাতায় (Kolkata) উত্তর (North) থেকে দক্ষিণ (South)। সব জায়গাতেই মানুষের ঢল। রবিবার চিড়িয়াখানায় (Zoo) মানুষের রেকর্ড ভিড়। সকাল থেকে দিনভর সেখানে এই ছবি। চিড়িয়াখানায় সপরিবারে বসে খাওয়ার দৃশ্য চেনা ছবি। কিন্তু, ভিড়ের চাপে তার কোনও উপায় ছিল না এদিন। কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ৬২ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। অনেককে হাপিত্যেশ করতে দেখা যায়। তাঁরা বাড়ি থেকে খাবার (Food) নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, বসে খাওয়ার কোনও জায়গা ছিল না।
আরও পড়ুন: B’town celebs New Year celebrations: ছবিতে দেখুন নতুন বছর ২০২৩-কে কীভাবে স্বাগত জানালেন বলিউড তারকারা
মধ্য কলকাতায় ভিক্টোরিয়াতেও (Victoria) প্রচুর ভিড় হয়। ভিক্টোরিয়ার বাইরে লম্বা লাইন বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম (Birla Planetorium) পর্যন্ত চলে এসেছিল। সায়েন্সসিটিতে (Science City) মানুষের ঢল নামে। কচিকাঁচাদের নিয়ে সেখানে ভিড় করেন অনেকেই। সায়েন্সসিটিতে ঢোকার জন্য লম্বা লাইন পড়েছিল। অনেকে সেই লাইন দেখেই নিরাশ হয়ে ফিরে যান। তাঁরা বছরের প্রথম দিন উপভোগ করার সময় নষ্ট করতে চাননি। সেজন্য অন্য জায়গার দিকে রওনা দেন। এদিন সায়েন্সসিটিতে রোপওয়ে ছিল মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রে।
রামকৃষ্ণদেবের (Ramkrishna) কল্পতরু (Kalpataru) অনুষ্ঠান দেখার জন্য কাশীপুর Kashipur) উদ্যানবাটীতে ভোর থেকে মানুষের ঢল নামে। দুবছর করোনা পরিস্থিতির জন্য সেভাবে মানুষ দেখার সুযোগ পাননি ওই অনুষ্ঠান। এবার তাই দিনভর কল্পতরু উৎসব দেখার জন্য মানুষের প্রবল আগ্রহ দেখা গিয়েছে। এমনিতে প্রতিবারই সেখানে ভক্তরা (Devotee) আসেন। এখন ভেদাভেদ করে বিভাজন হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন। এদিন সেই প্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা এই সময়ে রামকৃষ্ণ দেবের বাণীর কথা উল্লেখ করেন। যত মত তত পথ বাণীর প্রাসঙ্গিকতার ব্যাখ্যা করেন। সম্প্রীতির কথা তুলে ধরেন তাঁরা। তিন দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। দক্ষিণেশ্বর, জয়রমাবাটি সহ রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় ক্ষেত্রে প্রচুর জন সমাগম হয়।
এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও সন্ধ্যা পর্যন্ত উচ্ছ্বাসের সেই ছবি দেখা গিয়েছে। ছুটির (Holiday) দিন হওয়ায় মানুষ পিকনিকে (Picnic) মাতেন। দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবন, ইকোপার্ক, শান্তিনিকেতনে মানুষ উদযাপনে মাতেন। সাধারণত, সন্ধ্যা হলেই সারা দিনের উদযাপনের পর গা এলিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু, এদিন রাত পর্যন্ত উন্মাদনার ঘনঘটা দেখা গিয়েছে।