কাবুল: আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ন্যাটো-র সেক্রেটারি৷ সূত্রের খবর, কাবুলের বিমানবন্দর খোলা রাখার ব্যাপারে তাঁদের দুজনের কথা হয়৷ ন্যাটো-র সেক্রেটারি জেন্স স্টলটেনবার্গ ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কাবুলের বিমান বন্দর খোলা রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷যাতে সংঘর্ষ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে বিদেশীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন৷
#BREAKING NATO helping keep Kabul airport open for evacuations: Stoltenberg pic.twitter.com/Q7WkAhqLP1
— AFP News Agency (@AFP) August 15, 2021
আরও পড়ুন- দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, আসরে হামিদ কারজাই
সূত্রের খবর, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছাড়াও ন্যাটো-র সেক্রেটারি জেন্স স্টলটেনবার্গ কানাডা, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তারপরই এক টুইট বার্তায় জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, কাবুলের বিমানবন্দর খোলা রাখতে সব রকম সাহায্য করবে ন্যাটো৷
আরও পড়ুন- দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি
দেশ ছেড়ে পালালেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি৷ তিনি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১৫ অগস্ট) সন্ধেয় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ফি বছর স্বাধীনতা দিবসে একই প্রতিশ্রুতি মোদির, দাবি কংগ্রেসের
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এ খবর প্রকাশ করলেও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের দাবি, নিরাপত্তার কারণে আশরাফ ঘানির গতিবিধির বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। অন্যদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালিবান প্রতিনিধিরা ঘানির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়
এর আগে, তালিবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর তারা কোনও প্রতিশোধ নেবে না৷ লাগরিকদের জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তালিবানরা দেশ ও জনগণের সেবক।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তান ছাড়লেন প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি: তোলো নিউজ
প্রায় দু’দশক পর আফগানিস্তানে শুরু হতে চলেছে তালিবান-রাজ। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তালিবানের হাতে রাজপাট তুলে দেওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের আসরাফ ঘানি সরকারের৷ কিন্তু পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানির কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তালিবানরা৷ সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে আসছে তালিবান প্রধান মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদরের নাম৷
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষ, উত্তপ্ত ভাঙড়
রবিবার কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তেই তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আফগানিস্তান সরকারের। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে কাবুলে থাকতে গেলে তালিবান প্রশাসনের কাছে সব নথিপত্র জমা করতে হবে।’
আরও পড়ুন- ‘দেশটা সবার নিজের’, গান লিখে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
কাবুলের দখল নিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছিল জঙ্গিরা৷ শেষ সাতদিনে একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যের দখল নেয়৷ কার্যত বিনা প্রতিরোধে গজনি, কন্দহার, মাজার-ই-শরিফ এবং জালালাবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ সহজে দখল করে তারা৷ রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৬টিতে তালিবান সাম্রাজ্য তৈরি হয়ে যায়৷ এর পর তালিবানরা কাবুলে ঢুকতে শুরু করে৷
আরও পড়ুন- রেড রোডে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গত এপ্রিল মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন৷ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা৷ আমেরিকার ঘোষণায় শক্তিসঞ্চয় করতে শুরু করে তালিবানরা৷ জুন মাসের শেষ দিকে আফগান বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের৷ মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের দখল নিল তালিবানরা৷