কলকাতা: নারদ-কাণ্ডে আরামবাগের তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের (Aparupa Poddar) বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) তদন্ত চারমাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Calcutta High Court Justice Rajasekhar Mantha)। সাংসদের অভিযোগ, তদন্তের নাম তাঁকে বারবার হেনস্তা করা হচ্ছে। নারদ মামলার এফআইআর থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন নিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ।
অপরূপা সিবিআইকে চিঠি দিয়ে এই মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। চার্জশিটেও তার নাম নেই। সিবিআই অযথা হেনস্তা করছে বলে আদালতে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের। তাঁর দাবি, গত আট বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য পায়নি সিবিআই। আদালতে অপরূপা জানান, সিবিআই এখনও সেই চিঠির কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
ওই মামলার শুনানিতে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা। এদিন আদালত সিবিআইকে চার মাস সময় বেঁধে দিয়ে বলেছে, এরমধ্যেই তদন্ত শেষ করতে হবে। না হলে সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে নারদ মামলা থেকে মুক্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Raju Jha Death Case | রাজু ঝা খুনে সিবিআই তদন্ত
প্রসঙ্গত, সারদা-নারদা মামলার তদন্তের গতি নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আদালতের নজরদারিতে চিটফাণ্ড কাণ্ডের তদন্ত চলছে। তদন্তের গতি দেখে মনে হচ্ছে তা শীত ঘুমে চলে গিয়েছে। টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন তৃণণূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু নারদা নয় সারদা মামলা নবিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে অধীর চৌধুরী ও সুজন চক্রবর্তীর নাম থাকলেও এই বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বকেই বা কেন এজেন্সি ডাকে না? সাংসদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী আর হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের দলে নেওয়ার পর বিজেপি সেই তদন্ত থামিয়ে দিয়েছে।