কলকাতা: ফোনে আড়ি পাতা থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ এই ইস্যুগুলোতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি৷ গত সোমবার থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধীদের বিক্ষোভে কার্যত অচল সংসদের কাজকর্ম৷ কেন্দ্রের সমালোচনায় তৃণমূল সাংসদদের আক্রমণাত্মক ভূমিকা সকলের নজর কেড়েছে৷ এমন আবহে সোমবার বিকালে দিল্লিতে পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর উপস্থিতিই তৃণমূলের সংসদীয় দলকে মোদি বিরোধিতায় বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
আরও পড়ুন: মু্হূর্তের মধ্যে রেশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা মমতার
এখন প্রশ্ন উঠছে দিল্লি গিয়ে কার বাড়িতে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সংসদের অধিবেশনর জন্য রাজধানীতেই রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আবার মমতার দিল্লি যাত্রার সঙ্গী হচ্ছেন মুকুল রায়৷ প্রথমজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ দ্বিতীয়জন প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে দুই নেতার পাশাপাশি বাড়ি৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বাড়িতেই ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে দলনেত্রীর৷
আরও পড়ুন: বিজেপির জয়ে স্পষ্ট, সন্ত্রাসবাদকে ছুড়ে উন্নয়নকে বেছে নিয়েছে অসম: অমিত শাহ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর আচমকা নয়৷ একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশে দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এবারের দিল্লি যাত্রা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ৷ বিজেপিকে বিপুল ব্যবধানে ভোটে হারিয়ে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি৷ নবান্ন দখলের পর এটাই তাঁর প্রথম দিল্লি সফর৷ চলতি সপ্তাহের প্রায় পুরোটাই তিনি রাজধানীতে থাকবেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেমন দেখা করবেন তেমন বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা জানিয়েছিলেন, দিল্লি গিয়ে তিনি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান৷ শরদ পওয়ার, পি চিদম্বরমের নাম উল্লেখ করে তাদের বৈঠক ডাকার কথা বলেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, সবাইকে ডাকা হলে তিনিও যাবেন৷ এদিকে আগামী ২৮ জুলাই বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তৃণমূল নেত্রীর৷ তবে সোনিয়া গান্ধী বা শরদ পাওয়ারের মতো নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি নিজে যাবেন বলে খবর৷