কলকাতা: দমদম পার্ক (Dumdum Park Bharat Chakra) ভারতচক্র পুজো কমিটি তাদের পুজোর থিমে ‘কৃষক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা’ তুলে ধরেছে। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ বিজেপির অভিযোগ, জুতো ব্যবহার করে দেবী দুর্গাকে অপমান করা হয়েছে৷ আদালতের নোটিস পর্যন্ত গেছে পুজো কমিটির কাছে৷ যদিও এই থিমের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মকে কোনওভাবে আঘাত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্য দেবশঙ্কর। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, বিজেপি প্রত্যেকে পুজোতে নোংরা রাজনীতি টেনে আনে। এটা জগদ্ধাত্রী মা৷ আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছে। মাকে এক একজন এক এক রকম ভাবে আহ্বান করে।
মণ্ডপের বাইরের অংশ। নিজস্ব চিত্র।
কী আছে মণ্ডপ সজ্জায়? সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের ছবি৷ তেভাগা (Tebhaga) আন্দোলন থেকে নীল বিদ্রোহ, বারাসত বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ সহ দেশে বিভিন্ন সময়ে হওয়া কৃষক আন্দোলনের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে। ফলে, মণ্ডপের প্রতিটি কোণায় কোণায় সারি সারি চটি কৃষকদের কঠিন যাত্রার প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্যান্ডেলের চারদিকে ছড়ানো রয়েছে জীর্ণ ছেড়া চটি। ভিতরের দেওয়ালে আছে বিরাট পদচিহ্নের মাঝে অসংখ্য মুখ। এই মণ্ডপসজ্জাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মণ্ডপের বাইরে কৃষক আন্দোলন নিয়ে লেখা। লখিমপুরের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে বলেও অনেকে দাবি করেন। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির অভিযোগ, শ্রদ্ধার সঙ্গে দুর্গোৎসব হয়৷ কিন্তু, জুতো ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে নষ্ট করা হচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অপমান করা হচ্ছে৷ এ ভাবে ধর্ম রক্ষা করা যায় না।” ভারত চক্রের সদস্য দেবশঙ্কর সেন বলেন, “দমদম পার্ক সব সময় সাম্প্রতিক ঘটনা বা সমস্যাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। অতীতের বিভিন্ন ঘটনা ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা থেকে এবার আমরা এই থিমটিকে বেছে নিয়েছি। চটি হচ্ছে একটা প্রতীকী বিষয়। মূল মণ্ডপে যেখানে মা বসে রয়েছেন তার সঙ্গে চটির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও ২১ বছর ধরে যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করছি। এখানে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
আরও পড়ুন- পঞ্চমীর সন্ধেয় নবনীড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সময় কাটল গানে-কবিতায়
কৃষক আন্দোলন নিয়ে লেখা। সংগৃহীত চিত্র।
রবিবার ফিরাদ হাকিম বলেন, আমি যদি মুচি হই আমি যেটা সৃষ্টি করি অর্থাৎ সেটা দিয়ে মাকে আহ্বান করবো। ছুতোর হলে লোহার টুকরো দিয়ে মাকে আহ্বান করব। আমি মণ্ডপ সাজাবো কিসে সেটা নিয়ে বিজেপি ফতোয়া করবে তা মানা যায় না। কাউকে অপমান করার জন্য ভারতচক্র এই মণ্ডপ তৈরি করেননি৷ দেশের বর্তমান অবস্থাটা বোঝাবার জন্য এই মণ্ডপ তৈরি করেছে। সেখানে সিম্বলের কাজ করেছে জুতো৷ এঅর বিরোধিতা করার কারণ বিজেপির গায়ে লেগেছে। ওদের মনে পাপ আছে৷ ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি অবস্থা হয়েছে বিজেপির।