কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী আসছেন৷ তাই, সকাল থেকে সাজো সাজো রব আলিপুরের বৃদ্ধাশ্রম ‘নবনীড়ে’৷ সন্ধে সোয়া পাঁচটা নাগাদ তিনি এলেন নবনীড়ে৷ গান, কবিতা আড্ডায় কাটল প্রায় আধা ঘণ্টা৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় গান গেয়ে শোনান ইন্দ্রনীল সেন৷ আবাসিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্ভেজাল আড্ডার মাধ্যমে আবাসিকদের সমস্যার কথা শুনে নিলেন তিনি৷ আগামী দিনে খামতি পূরণের আশ্বাস দেন৷ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সব কিছু প্রয়োজন দ্রুত মেটানোর নির্দেশে দেন৷
এ দিন মমতা বলেন, এই জায়গার প্রতি আমার অন্য টান৷ আপনাদের জন্য লিফটের ব্যবস্থা হয় গেছে৷ করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বারও ঘোরানোর ব্যবস্থা করা গেল না৷ তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কালীপুজোয় আমার ওখানে যাবেন৷ প্রত্যেকেই করোনা ভ্যাকসিনের ডবল জোড পেয়েছেন কি না তার খোঁজ নেন৷
আরও পড়ুন-বিজেপি-র বিরুদ্ধে ব্যর্থ কংগ্রেস, লড়াইয়ের মুখ তৃণমূল, জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যায় লিখলেন মমতা
রবিবার সকাল থেকে একের পর এক পুজোর উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবনীড়ের পুজো উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যাদবপুরের সাংসদ যখন ছিলাম, তখন থেকে এই জায়গাটার প্রতি টান আছে। গভীরতা আছে।’ নবনীড়ে মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় শ’দেড়েক আবাসিক রয়েছেন৷ তাঁদের জন্য পুজোর বিশেষ উপহার নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ ঠিক যেমন বিগত বছর গুলিতে নিয়ে আসতেন৷ নিজের লেখা গানের সিডি…ইত্যাদি৷
আরও পড়ুন-শপথ নিলেন মমতা, আমন্ত্রণ জানানোর পরও অনুপস্থিত বিজেপি বিধায়করা
করোনা আবহে প্রবীণ মানুষদের সান্নিধ্যে যাওয়াটা একটু ঝুঁকির। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিক তথা বাইরের মানুষদের থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাঁদের। তাই এবারও সরাসরি তাঁদের সান্নিধ্যে না গিয়েও নবনীড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ইন্দ্রনীল সেন। নবনীড়ের লনে মুখ্যমন্ত্রীর বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। আর মহিলা আবাসিকরা চেয়ার নিয়ে লনেই বসেন। পুরুষরা ঘরের ভিতর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সকলের জন্যই সামাণ্য উপহার নিয়ে যান। তবে এবার আর একসঙ্গে বসে আড্ডা সম্ভব হয়নি। তাঁদের নিরপত্তার কথা ভেবেই নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই কথা বলেন তিনি।
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/618292085848554
উল্লেখ্য, প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় নবনীড়ে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী। এবার করোনা আবহে সাক্ষাতের কৌশল বদলালেও প্রতিবছরের রুটিন বদলালো না।