কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগের দিন, শুক্রবার মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose Governor of West Bengal )। তাঁর এই সফর নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। শাসকদল প্রশ্ন তুলেছে, প্রচার শেষের পর রাজ্যপাল কেন যাবেন মুর্শিদাবাদে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ( Kunal Ghosh) অভিযোগ, তিনি ভোটের আগের দিন প্রশাসনিক পদ ব্যবহার করে উত্তেজনা ছড়াতে যাচ্ছেন। কুণাল বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত রাজ্যপালকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা। যদি উনি সম্মান না রাখতে পারেন, তবে এই ভাষাতেই কথা বলা উচিত।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন শুরুর দিন থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলা সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে হিংসার প্রশ্নে। সেদিন রাতে জেলার খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। রাজনৈতিক হিংসায় জখম হন আরও কয়েকজন। তারপর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গোলমাল হয়। দফায় দফায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, ভোটের দিনও ব্যাপক হিংসা হতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলায়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, রাজ্যপাল সব জেলায় যাচ্ছেন। খুব ভালো। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও রোজ গোলমাল হচ্ছে। তাই আমি চাই, রাজ্যপাল এই জেলাতেও আসুন। মনোনয়ন পর্বে রাজ্যপাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, ভাঙড়, কোচবিহারের দিনহাটায় হিংসাদীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, যেখানে হিংসা হবে, সেখানেই আমি ছুটে যাব। হিংসা রুখতে তিনি রাজভবনে শান্তিকক্ষ তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বেনজির আক্রমণ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। তিনি বলেন, কমিশনার রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। এত হিংসা, এত রক্তপাতের দায়িত্ব কমিশনারকে নিতে হবে। তাঁর হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।
রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠকের পর তাঁকে আক্রমণ শানান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির দালালি করছেন। তিনি সমস্ত রীতি নীতি বিসর্জন দিয়ে বেআইনি কাজ করছেন। রাজ্যপাল আজ বিরোধীদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেছেন। তাঁর মুখে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কথা শোনা গিয়েছে। তার পরেও তিনি শুক্রবার কেন যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদে। উনি তো অশান্তি করতে যাচ্ছেন।