হাসনাবাদ: সকাল ৭টা থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণের পর্ব। তারই মধ্যে জেলায় জেলায় দিনভর চলছে অশান্তি। রাজনৈতিক হানাহানিতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুথ দখল, মারধর, ভোটারদের লাইনে গুলি, বোমাবাজি কিছুই বাদ যায়নি। এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে শাসকদলের হাতে এদিন আক্রান্ত হয় কলকাতা টিভি।
কলকাতা টিভির সাংবাদিককে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাঁর হাত থকে বুম কেড়ে নেওয়া হয়। কলকাতা টিভির লোগোও ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওই সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে এই ভাবে আক্রমণ করায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এদিক সকাল থেকেই পঞ্চায়েত ভোট পর্ব ছিল ঘটনাবহুল। বিকেল পর্যন্ত রাজনৈতিক হানাহানিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত্য ১২ জনের। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পুর্ব প্রতিশ্রুতি মতো এদিন রাস্তাতেই ছিলেন। তিনি কখনও ব্যারাকপুর, কখনও বারাসত, আবার কখনও বসিরহাটে ছুটে গিয়েছেন।শুক্রবার তাঁর আবেদন ছিল, ভোট যেন অবাধ ও শান্তিপুর্ণ হয়। কিন্তু তাঁর আবেদনে শাসক-বিরোধী কোনও পক্ষই যে কান দেয়নি তা দিনভর হিংসার ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
এদিনের হিংসায় বুথ দখল থেকে শুরু করে ছাপ্পা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, মারধর, ভাঙচুর কিছুই বাদ যায়নি। শাসকদল অবশ্য দাবি করেছে, ৬১ হাজারেরও বেশি বুথের মধ্যে মাত্র ৬০টি বুথে গোলমাল হয়েছে। এই গোলমালের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে বলেও শাসকদলের অভিযোগ।