কলকাতা: দেবাঞ্জন দেবের নাম লেখা ফলক ভেঙে দিল কলকাতা পুরসভা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ফলক বসিয়েছিল তালতলার স্থানীয় একটি লাইব্রেরি। ফলকে দেবাঞ্জন দেবের নামের পাশে লেখা ‘যুগ্ম সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকার’। অর্থাত পদ মর্যাদায় তিনি একজন আমলা। ফলকটি বসানো হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির নীচে।
আরও পড়ুন:দেবাঞ্জনের ফ্রিজারে অ্যামিকাসিনের ভয়েল
তালতলার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক, স্থানীয় লাইব্রেরি ত্রিপুরা শংকর সেনশাস্ত্রী স্মৃতি গ্রন্থাগার। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই ডাকা হয় শাসক দলের হেভিওয়েট নেতাদের। যেমন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়নার বক্তব্য, ” লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে তিনি যাননি। এমনকি এ ধরনের অনুষ্ঠানের কথা তাঁর জানা নেই। ফলকে নাম লেখার জন্য কোনও প্রয়োজনীয় অনুমতি তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়নি।” শুধু নয়না না, ওই দিনের অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম বা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই যোগ দেননি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বারবার বয়ান বদল, পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন দেবাঞ্জন
পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষের বক্তব্য, বিতর্কিত এই ফলকের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই৷ এই মূর্তি বা ফলক কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বসানো হয়নি। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, লাইব্রেরির ওই অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁরও আপত্তি ছিল। কারণ, অনুষ্ঠানটি পুরসভার তরফে আয়োজন করা হয়নি।”
আরও পড়ুন: কীর্তিমান দেবাঞ্জনের বায়োডেটা
শুক্রবার বিকেলে পুরসভার নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হয় ওই বিতর্কিত ফলক। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভায় সাব কন্ট্রাক্টের কাজ ধরেছিলেন দেবাঞ্জন। সেই সূত্রেই তাঁর পুরসভায় যাতায়াত শুরু। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে কলকাতা পুরসভার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ধৃত দেবাঞ্জন। পুলিশ এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।