কলকাতা: ২০১৪ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। শনিবারের ম্যাচ তাঁর কাছে অত্যন্ত স্পেশাল ছিল, কারণ জন্মদিনের পাশাপাশি কেকআরের জার্সিতে ১০০ তম ম্যাচ খেললেন ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার। এরই সঙ্গে নিজের দেশের থেকেও নাইট বাহিনীকে এগিয়ে রাখলে তিনি।
কলকাতার হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার খেলছেন নিজের দশম আইপিএল। এই প্রসঙ্গেই নিজের দেশের বোর্ডের থেকে কলকাতার ম্যানেজমেন্টকে অনেকটা এগিয়ে রাখলেন তিনি। এমনকী আইপিএলের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির থেকেও নাইট রাইডার্স যে তাঁর কাছে বেশি কাছের, তাও তিনি প্রকাশ করলেন এদিন। তিনি বলেন, “আমার দেশও আমার জন্য এত কিছু করেনি, যা করেছে কেকেআর।”
আরও পড়ুন: Badminton Asia Championships | অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন জুটিকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের দুই ছেলে
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবছর আগে হাঁটুর অপারেশন করতে হয়েছিল ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটারকে। রাসেল বলেন, সেই সার্জারির সব দায়িত নেয় কেকেআর ম্যানেজম্যান্ট। তাঁর কথায় তিনি যে ইডেনে দাঁড়িয়েছিলেন তার পুরো কৃতিত্ব কলকাতা নাইট রাইডার্সের। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডও এগিয়ে আসেনি।
প্রসঙ্গত, যেদিন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কলকাতা আর গুজরাত মুখোমুখি হয়েছিল সেদিন ২৪ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বিজয় শঙ্কর। প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছিল, ম্যাচের নায়ক হবেন তিনিই। কিন্তু পাঁচ বলে পাঁচটা ছয় মেরে সমস্ত আলো নিজের দিকে নিয়ে নিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। সেদিন হয়তো মনে মনে অদৃষ্টকে দোষারোপ করছিলেন শঙ্কর। অদৃষ্ট যেমন কেড়ে নেয় তেমন ফিরিয়েও দেয়। শনিবারের ম্যাচে ফের কলকাতার বিরুদ্ধে কলকাতার মাঠে আলো কাড়লেন তিনিই। শঙ্করের ২৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস নাইটদের হারিয়ে দিল।
ইডেন গার্ডেন্সের পিচে গতকাল ২০ রান কম করেছিল কেকেআর। তবু ১৭৯ রান ডিফেন্ড করা অসম্ভব নয়। শুরুতে শুভমান গিলের ধাক্কা সামলে ম্যাচে ফিরে এসেছিলেন নীতীশ রানারা। কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাক করলেন বিজয় শঙ্কর এবং ডেভিড মিলার। এর আগের কয়েকদিন কেকেআরের পেসাররা মার খাচ্ছিলেন। শনিবার মার খেলেন স্পিনাররা। সবথেকে বেশি রান দিলেন বরুণ চক্রবর্তী।
ম্যাচের পর কেকেআর অধিনায়ক বারবার ফিল্ডিংয়ের, বলা ভালো ক্যাচ মিসের দিকে আঙুল তুললেন। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং ব্যর্থতাকেও দায়ী করলেন। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বও কি ঠিকঠাক ছিল? শার্দূল ঠাকুর খেললেন, ফার্স্ট ডাউনে ব্যাট করতে এলেন, অথচ বল করলেন না। প্রথম ওভারে হর্ষিত রানা ৩ রান দেওয়ার পর সবাই যখন ভাবছে এবার শার্দূল বল করবেন, নতুন বল হাতে এলেন আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell)। আগের দিন উইকেট পেয়েছে বলেই একজন ‘প্রপার’ বোলারের জায়গায় পার্টটাইমারকে বল করানো কী ধরনের ক্যাপ্টেন্সি? সবথেকে বড় কথা, শার্দূল বলই করলেন না।