বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে কার কপালে শনি নাচছে, তা ঠিক হবে আগামিকাল, ১৩ মে। ভোট পরবর্তী সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা প্রবল অনিশ্চিত। সেই হিসেবে এই খেলার রেফারি হতে চলেছে এইচ ডি কুমারস্বামীর দল জেডিএস। তাই ইতিমধ্যেই জেডিএসের সঙ্গে চূড়ান্ত দরাদরি কষছে কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরই। দলের নেতা কুমারস্বামীও বলেছেন, দুই পক্ষই তাঁদের সঙ্গে কথা চালাচালি করছে। তাঁর কাছে সকলেই সমর্থন চেয়ে রেখেছে।
তবে ২০১৮ সালে কংগ্রেস যেমন বাধ্য হয়ে আঞ্চলিক দলের কাছে মাথানত করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিয়েছিল, এবার সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত মিলে গেলে জেডিএস অর্থাৎ কুমারস্বামীকে সরকারের চালকের আসন নাও ছাড়তে পারে সোনিয়া-রাহুলের দল। বিজেপি শিবির থেকেও সেই আঁচ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, আগেরবার মাত্র ৩৭ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী।
আরও পড়ুন: Weather Updates | দক্ষিণবঙ্গে আজও জারি তাপপ্রবাহ, স্বস্তি কবে, কী বলছে আবহওয়া দফতর
এনডিটিভির একটি সংবাদ অনুযায়ী কুমারস্বামী এখন সিঙ্গাপুরে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছেন। শনিবার ভোটগণনার আগেই তিনি বেঙ্গালুরু পৌঁছে যাবেন। তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দলের এক শীর্ষ নেতা স্বীকার করে নিয়েছেন, ভবিষ্যতের জোট গঠন নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তনবির আহমেদ নামে কুমারস্বামীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত এক নেতা জানান, সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সঠিক সময়ে মানুষকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। অন্যপক্ষে বিজেপি নেত্রী শোভা করণ্ডলাজে জানিয়েছেন, জেডিএসের সঙ্গে ফল পরবর্তী জোট গড়ে সরকার গঠনের কোনও সম্ভাবনা নেই। বিজেপি কুমারস্বামীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করেনি।
তাঁর দাবি, আমরা নিশ্চিত যে ১২০টি আসনে জিতব। আমাদের কার্যকর্তারা যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তার ভিত্তিতে আমরা এই সংখ্যায় এসে পৌঁছেছি। বিজেপির দাবি নিয়ে জেডিএসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তনবির আহমেদ বলেন, বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই শিবিরই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। আমরা এমন একটা জায়গায় এখন রয়েছি যাতে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেই হবে সকলকে। দুই জাতীয় দলকেই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার রুখতে কর্নাটকের মানুষ আমাদের খাড়া করেছেন, অন্তত সমীক্ষা তাই বলছে। আর আমিও মনে করি আঞ্চলিক দলেরও কেন রাজ্যের মানুষের সেবা করার অধিকার থাকবে না!
তনবিরের দাবি, আমাদের ছাড়া কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না। আমরা ভালো সংখ্যায় জিতব। এটা ঠিক যে, জাতীয় দলগুলির কাছে অর্থ ও পেশিশক্তিতে আমরা দুর্বল। কিন্তু, সরকারের অংশ হওয়ার মতো যোগ্যতা আমরা অর্জন করব।