হুগলি: দুপুরের পর বিকেলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল জাঙ্গিপাড়া (Jangipara Hooghly)। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তাল ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিকেলে সংঘর্ষের জেরে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর। সংঘর্ষে আক্রান্ত হলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ৪ জন সহ জঙ্গিপারার ওসি অনিল রাজ ও এডিশনাল এসপি লাল্টু হালদার। আহতদের জাঙ্গিপাড়া ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় ফুরফুরা থেকে আইএসএফ ৪ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজ্যের একাধিক জেলা। রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর হামলা,বোমাবাজি , গুলি, খুনোখুনি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন ঘিরে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ঝরল রক্ত। এবার বোর্ড গঠন নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগনির জঙ্গিপাড়া। বৃহস্পতিবার ছিল হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ফুরফুরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। সকাল থেকেই বোর্ড গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে হয় ইটবৃষ্টিও চলে। এলাকায় পরিস্থিতি সামলা নামানো হয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠন ঘিরে জেলায় জেলায় ধুন্ধুমার
আইএসএফের অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনীয় লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। পুলিশের পাল্টা দাবি, বিরোধী সমর্থকরা বোমাবাজি করে। তাদের ল্ক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরে পুলিশ পঞ্চায়েত দফতরের তালা খুলে দেয়। আশপাশে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে। আইএসএফের অভিযোগ পুলিশ নওশাদ সিদ্দিকির বাড়ি লক্ষ্য করে পুলিশের ইট ছোড়ে। তারপরই গোলমাল ছড়িয়ে পড়়ে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddiqui)। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বেশ মেজাজ হারান।