নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছিল ভারত। দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে লকডাউন-নাইট কার্ফু শুরু হওয়ায় দেড় মাস যাবত সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। এর পাশাপাশি সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও কমছে।
আরও পড়ুন: জমা পড়ল কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় ট্রায়ালের নথিপত্র
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮১৭ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৫৫ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৫৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,৮৪৮ জন৷ তার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ কোটি ২৮ হাজার ৭০৯। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৫৮ জনের৷ এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে কিছুটা কম। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৬০৷
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ছোটদের টিকাকরণ, জানালেন এইমসের চিকিৎসক
গত ৪১ দিন ধরে যতজন দৈনিক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার থেকে বেশি রোগী রোজ সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর জেরে দেশে অ্যাকটিভ কেস ধারাবাহিকভাবে কমছে। এদিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৯ হাজার। একমাস আগে দেশে সক্রিয় রোগী ছিল ৩৭ লক্ষের বেশি। এখন তা কমে ৭ লক্ষের নীচে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৬,৪৩,১৯৩টি৷
অর্থাৎ, দেশে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৯৩ জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। আপাতত দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ২৯ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৭২ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।