তাহলেই ২০২৩-এর এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জনের তৃতীয় রাউন্ডের দিকে অনেকটা এগিয়ে যাবে ভারত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাতারের দোহার আল হামিদ স্টেডিয়ামে বিশ্ব কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ভারতের শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের সঙ্গে। সাত ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট এখন ছয়। পাঁচ টিমের গ্রূপে তারা এখন আছে তিন নম্বরে। কাতার এবং ওমানের পরেই। বিশ্ব কাপে যাওয়ার কোনও আশাই নেই। তবে জিতলে তো বটেই ড্র করলেও ভারত চিনের এশিয়া কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে।
করোনার জন্য প্রায় দেড় বছর ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি ভারত। তার পর দোহায় বিশ্ব কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তাদের তিনটি ম্যাচ ছিল। প্রথমটিতে ভারত কাতারের কাছে ০-১ গোলে হারলেও বাংলাদেশকে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে। দুটি গোলই করেছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তাঁর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা এখন ৭৪। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি গোল করার পর তিনি টপকে গেছেন লিওনেল মেসিকে (৭২)। আর তিনটি গোল করলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ফুটবল সম্রাট পেলেকে যাঁর গোল সংখ্যা ৭৭। তার চেয়েও ভারত অধিনায়কের কাছে অনেক জরুরি আফগানদের হারানো, যাদের সঙ্গে কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ভারত গোল শূন্য ড্র করেছিল।
সেই ভারতের সঙ্গে অবশ্য এখনকার ভারতের অনেক তফাত। এখন ছেত্রীর পাশে গোল করার লোক আছে। মনবীর সিং চমৎকার মানিয়ে নিয়েছেন আপ ফ্রন্টে। মাঝ মাঠে চমৎকার খেলছেন ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ। তিনিই মূলত গেমমেকার। উঠে নেমে খেলে আক্রমণকে সচল রাখেন এফ সি গোয়ার এই মিডফিল্ডার। সঙ্গে গ্লেন মার্টিন্স, সুরেশ সিং এবং বিপিন সিংকে নিয়ে ভারতের মাঝ মাঠ বেশ জমজমাট। ডিফেন্সে সন্দেশ ঝিঙ্গনের সঙ্গে চিঙ্গলসানা সিং ও শুভাশিস বসু মিলে যথেষ্ট নির্ভরতা দিতে পারেন। গোলে গুরপ্রীত সিং এখন জীবনের সেরা ফর্মে। কাতারের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন সেভ করেছেন তিনি।
তাই বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে আফগানিস্তানকে হারানো উচিত ভারতের।