নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়, সাহায্য ও সক্রিয়ভাবে সমর্থন করার ইতিহাস পাকিস্তানের রয়েছে। গোটা বিশ্ব সে কথা জানে। পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা সন্ত্রাসবাদকে খোলাখুলি সমর্থন করে। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ ব্যয়ও করে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ ভাবেই পাকিস্তানকে কড়া আক্রমণ করল ভারত। আজ মোদির ভাষণে সুর আরও চড়ে কি না সেটাই দেখার।
ইমরান খান তাঁর বক্তৃতায় কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘মহান কাশ্মীরি নেতা’ সৈয়দ আলি গিলানির মৃতদেহ ভারত জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতার পরিবার দাবি করেছিল, তাদের সম্মতি ছাড়াই গিলানির দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং কবর দেওয়া হয়েছিল। ইসলাম রীতি মেনে তাঁকে কবর দেওয়ার দাবি তোলেন ইমরান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে সমর্থন, তাতেই নেটিজেনদের ট্রোলিংয়ের ঝড়
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের বিরোধিতা করা ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতেও মুখ খোলেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। পাকিস্তান অবৈধভাবে কিছু এলাকা দখল করে রেখেছে। আমরা অবিলম্বে পাকিস্তানকে সেই সমস্ত এলাকা খালি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী কাছে নিরাপদ আশ্রয় বোঝাতে ওসামা বিন লাদেনের প্রসঙ্গও টানেন ফার্স্ট সেক্রেটারি। তাঁর কথায়, ইউএনএসসি (রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ) কর্তৃক নিষিদ্ধ সর্বাধিক সংখ্যক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার রেকর্ডও পাকিস্তানের দখলে। সে কারণেই ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিলেন। আজও, পাকিস্তান নেতৃত্ব তাকে ‘শহীদ’ হিসাবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: তালিবানদের সমর্থনে কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
নাম না করে ইমরানকে তোপ দেগে স্নেহা বলেন, পাকিস্তানের নেতা আমার দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালানোর জন্য রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ অপব্যবহার করেছেন। যদিও এমনটা যে প্রথম হচ্ছে তা নয়। দেশের দুর্দশা থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরানোর বৃথা চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত এমন একটি দেশ, যেখান গণমাধ্যম স্বাধীন। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ আমাদের সংবিধানের উপর নজর রাখে এবং রক্ষা করে।