ইসলামাবাদ: খেলা শেষ৷ রাজনীতির ২২ গজে রান আউট কাপ্তান৷
মধ্যরাতে পতন ইমরান খান সরকারের৷ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭৪ জনই ভোট দিলেন তাঁর বিপক্ষে৷ পাক সংসদীয় ইতিহাসে ইমরান প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি আস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিলেন৷ এ ছাড়া পাকিস্তানে কোনও নির্বাচিত সরকারই পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেনি৷ ইমরানও পারলেন না৷ হারের পরই হেলিকপ্টারে চেপে বাসভবন ছাড়েন তিনি৷
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবারের মধ্যে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ ওদিকে সময় গড়িয়ে গেলেও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে কিছুতেই বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি শুরু করা যাচ্ছিল না৷ বারবার মুলতবি হয়ে যাচ্ছিল অধিবেশন৷ রাত ১২টার মধ্যেও আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ অধিবেশন ডাকেন প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিলাল৷ ভোটাভুটি এড়ানো সম্ভব নয় বুঝে চরম নাটকীয়তার মধ্যে পদত্যাগ করেন স্পিকার আসাদ কাইজার এবং ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি৷ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ার প্যানেলের সদস্য আয়াদ সাদিক স্পিকারের দায়িত্ব সামলান৷ আস্থা ভোট শুরু হতে প্রথম ভোট দেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি৷ একে একে ভোট দেন আরও ১৭৩ জন সাংসদ৷ রবিবার ভোর রাতে ১৭৪-০ ভোটের ব্যবধানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ ৩৭২ আসান বিশিষ্ট পাক অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার ১৭২৷
ততক্ষণে পাক অ্যাসেম্বলির বাইরে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী৷ আনা হয় প্রিজন ভ্যান৷ হিংসা এড়াতে ইসলামাবাদের রাস্তায় টহল দিতে থাকে পাক জওয়ানরা৷ বিমানবন্দরে জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট৷ পাক মিডিয়া জানিয়েছে, ইমরান ঘনিষ্ঠরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে৷ এ দিকে আস্থা ভোটের আগে ইমরানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেনাপ্রধান বাজওয়া৷ দু’জনের মধ্যে কী হয়েছে তা জানা যায়নি৷
আরও পড়ুন: Imran Khan: মধ্যরাতে খুলছে পাক সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর-পেশোয়ারে বাড়তি নিরাপত্তা