মুম্বই: পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে বা প্রেম করার জন্য ফিবছর কয়েকশো খুন হয়। নিজের ভিনজাত বা ভিনধর্মের এই ধরনের সম্পর্ককে এখনও আমাদের সমাজ মেনে উঠতে পারেনি। তাই পরিবার এই ধরনের সম্পর্ক মেনে নিতে চায় না। আর যে কারণে কয়েকশো খুন হচ্ছে প্রতিবছর। শনিবার নৈতিকতা এবং আইন (Morality and Lax) শীর্ষক এক বক্তৃতায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI Chandrachud) একথা বলেন। তাঁর মতে, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সমাজে বরাবরই সংখ্যাগরিষ্ঠের মত দুর্বল শ্রেণির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।
মুম্বইয়ে (Mumbai) একটি অনুষ্ঠানে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, নৈতিকতা শব্দের অর্থ কী? নৈতিকতা হল পুরুষের নীতি, উচ্চবর্ণের নীতি, ক্ষমতাশীলের নীতি। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা রক্ষা বলতে বিচারবিভাগের উপর ভরসা করে। তিনি আরও বলেন, সংবিধান তৈরির পরও আইন পর্যাপ্ত নৈতিকতা আরোপ করেছে। কিন্তু সেই নীতিবোধ হল সংখ্যাগুরু সমাজের। আমাদের গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থায় আইন পাশ হয় সংখ্যাগুরুর ভোটে। সুতরাং, সংখ্যাগুরুরা কী চাইছে, তার উপরই নির্ভর করে আইন। সাধারণ মানুষের নীতিবোধ কী তার মূল্যায়ন কতটুকু হয়?
আরও পড়ুন: PM Modi Meghalaya visit: মোদি-শাহর মেঘালয়-ত্রিপুরা সফরে উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এই মন্তব্য এমন সময়, যখন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আসতে চলেছে। প্রধান বিচারপতির মতে, আইন বাইরের বিষয়। আর নীতি-নৈতিকতা হল অন্তরের, মস্তিষ্কের ব্যাপার। আইন ও নৈতিকতার মধ্যে তফাত বোঝাতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, নীতির পরাকাষ্ঠা হয়ে গ্রন্থ, নাটক নিষিদ্ধ করা, পানশালায় নাচ বন্ধ করা হল নৈতিকতার প্রয়োগ। রাজ্য বা রাষ্ট্র চায় আইনের ক্ষমতা প্রয়োগে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে। অথচ সংবিধানে মানুষকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে।