কলকাতা: গড়ফার পি রায় লেনের বাসিন্দা বছর সত্তরের সংগ্রাম দে’র কঙ্কাল উদ্ধারের (Garfa Mysterious Death) পর পুলিসের মনে যে সন্দেহটা জাগে এই মৃত্যু কি স্বাভাবিক? যদি স্বাভাবিক হয়, তা হলে মৃতদেহ (Decomposed Body) সৎকার না করে পরিবার তিন মাস ধরে এ ভাবে আগলে রাখল কেন? সোমবার সন্ধেয় পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিসের একটা সন্দেহ দূর করেছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংগ্রাম দে’র মৃত্যু স্বাভাবিক৷ স্বভাবতই পুলিসের সন্দেহ, পরিবারের বাকিরা মানসিক ভাবে অসুস্থ৷ কিন্তু তা নিয়েও খটকা রয়েছে৷
ছেলে কৌশিক দে যদি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে থাকেন বলে ধরে নেওয়া যায়, তা হলে সংগ্রাম দে’র স্ত্রী অরুণা দে কেন স্বামীর মৃত্যুর কথা কাউকে জানাননি? ছেলেই কি মা’কে চুপ থাকতে বাধ্য করেছিলেন? খোঁজখবর নিয়ে পুলিস জানতে পারে সংগ্রাম দে’র স্ত্রী শারীরিক ভাবে অসুস্থ৷ হাঁটাচলা করতে পারেন না৷ দু’হাতে ভর দিয়ে কোনও রকমে কাজ করেন৷
প্রায় খাটের সঙ্গে মিশে যাওয়া দেহ৷ নিজস্ব চিত্র৷
ক্লাবের ছেলেদের সন্দেহ না হলে হয়তো আরও কিছু দিন আড়ালেই থেকে যেত সংগ্রাম দে’র দেহ৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত সংগ্রাম দে প্রতি বছর দুর্গা পুজোয় বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদা দিতেন৷ কিন্তু, এ বছর পুজোর চাঁদা দেননি৷ ক্লাবের ছেলেরা চাঁদা চাইতে গেলে মৃতর ছেলে কৌশিক দে জানান, ‘বাবা সোশ্যালি ডেড’৷ কৌশিকের এই কথা শুনেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়৷ তার মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা সংগ্রাম দে’কে বাড়ির বাইরেও দেখতে পাননি৷
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোয় ফিরছে টোকেন
তবে, দুর্গন্ধের কারণে শেষরক্ষা হল না৷ এলাকার বাসিন্দারা বেশ কিছুদিন ধরেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন৷ সন্দেহ থেকেই তাঁরা পুলিসকে ফোন করেন৷ রবিবার রাতে পুলিস ওই বাড়ি গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে৷