বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর ঋষি শিব প্রসন্ন (Rishi Shiv Prasanna) বিস্ময় বালকই বটে। শুনলে যে কেউ আশ্চর্য হবেন, ঋষির আইকিউ লেভেল অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের থেকেও বেশি। আট বছর বয়সি ঋষির বুদ্ধঙ্ক ১৮০। খুব বুদ্ধিমান যে কোনও মানুষের আইকিউ (IQ) সাধারণত ১৩০ থাকে। ঋষির আইকিউ এর অনেক উপরে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই কম্পিউটার নাড়াচাড়া করতে শুরু করে। তখন থেকেই কোডিংয়ে তার উৎসাহ ছিল যথেষ্ট।
এই আট বছর বয়সেই ঋষি তিনটি অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে। একটি আইকিউ টেস্ট অ্যাপ, সেটি বাচ্চাদের জন্য। দ্বিতীয়টি কান্ট্রিস অফ দা ওয়ার্ল্ড এবং তৃতীয়ওটি সিএইচবি। সে একটি ইউটিউব চ্যানেলও খুলে ফেলেছে। সেখানে বিজ্ঞান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং বিষয় শেয়ার করে ঋষি।
আরও পড়ুন: Modi Documentary at Kolkata: যাদবপুরে এসএফআই, প্রেসিডেন্সিতে আইসি দেখাবে মোদির তথ্যচিত্র
এহেন বিস্ময় বালক ঋষি ২০২৩ সালের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার (Pradhan Mantri Rashtriya Bal Puraskar 2023 award) পেল। বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পেয়ে দারুন খুশি সে। কয়েক দিন আগেই ব্রিটেনের এক তিন বছরের খুদে বিশ্বখ্যাত মেনসালাভের সদস্য মনোনীত হয়েছে। এই বয়সেই সে পড়তে শিখে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের
সাতটি ভাষায় (seven languages) সে এক থেকে একশো পর্যন্ত সাবলীলভাবে গুণে যেতে পারে। রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে টেডি হবস (Teddy Hobbs) নামে ব্রিটেনের এই খুদে।
বেঙ্গালুরুর ঋষিও মেনসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। সে অবশ্য এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ পেয়েছে মাত্র চার বছর পাঁচ মাস বয়সেই। দু’বছর বয়স থেকেই ঋষির অক্ষরজ্ঞান হয়ে যায়। তিন বছর বয়সে সে সৌরজগৎ সম্পর্কে অনর্গল বকে যেতে পারত। পাঁচ বছর বয়সে সে সব ধরনের বই পড়তে শুরু করে দেয়।
গত বছর একটি অনুষ্ঠানে ঋষি বলেছিল, তুমি যখন অনেক বই পড়বে, তখন জ্ঞান আহরণ করতে পারবে। তুমি যখন আরও বেশি পড়তে শিখবে, তখন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। এমন একটা সময় আসবে যখন যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে তুমি আর ভয় পাবে না। প্রতি দু ঘণ্টায় তুমি যদি একটি বই না পড়ো, তাহলে পরের চার ঘণ্টায় তুমি অশিক্ষিতই থেকে যাবে। সেদিনই ঋষি বলেছিল, আমি বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চাই। সমাজ এবং দেশের কাছে কিছু অবদান রেখে যেতে চাই।
সত্যিই বিস্ময় বালক বটে ঋষি শিব প্রসন্ন।