কলকাতা: বুধবার মধ্যরাতে অভাবনীয় নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগর। প্রায় সাড়ে চার মাস পর এসএসকেএম থেকে বাইরে বের করা হল কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। প্রায় মাঝরাতে অবশেষে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে সুজয় ভদ্রকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছায় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। স্ট্রেচারে করে তাঁকে বের করা হয় অ্য়াম্বুল্যান্স থেকে। জানা গিয়েছে, আগে জোকা ইএসআই-এর জরুরি বিভাগে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: রোগীর অনুমতি ছাড়া রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা যাবে না!
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সূত্র ধরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছিল ইডি। আদালতের থেকেও অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু, এতদিন তা সম্ভব হয়নি। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে একাধিকবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল ইডি।
শেষমেশ জোকা ইএসআই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সূত্রের খবর, একাধিকবার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সুজয় ভদ্রের। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন চোখ-কান-গলা বিশেষজ্ঞরাও। শুধু সাউন্ড-প্রুফ নয়, ইকো-প্রুফ রুম তৈরি রাখা হয়েছিল জোকা ইএসআইতে। সেখানে ভয়েস স্য়াম্পেল সংগ্রহ করে তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা তো হওয়ারই ছিল। কিন্তু মাঝখান থেকে যা ঘটে গেল, সেটা হল এসএসকেএমের মতো একটি ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান যার পরিচিতি গোটা ভারতে, সেই হাসপাতালের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হল। ইডিকে সেখানে রাতে পৌঁছাতে হল, সামান্যতম বিশ্বাসযোগ্যতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেই।
অন্য খবর দেখুন