অনেকের ধারণা শুধু মাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই বোধ হয় জাম (Jamun) খেতে হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করা তো বটেই, শরীরের আরও নানা উপকারে লাগে জাম।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জামের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামক যৌগ থাকে যা রক্তে শর্রকার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিন হরমোনোর ক্ষরণ বাড়ায়। জামের বীজের প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফলের বীজ ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Travek Tips | বর্ষায় সিকিম যাবেন ভাবছেন? ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি
ভিটামিন সি এবং আয়রনে ভরপুর জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছলে শারীরবৃত্তীয় কাজ কর্ম সঠিক হয়।
হার্টের জন্য ভাল
১০০ গ্রাম জাম থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় প্রায় ৫৫ গ্রাম। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পটাশিয়াম। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ধমনী সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে জাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
চোখের যত্নে
চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ভিটামিন এ। জামের মধ্যে এই ভিটামিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই চোখ ভাল রাখতে গেলে যে কয়েকটা দিন জাম পাওয়া যায়, খেয়ে নেওয়াই ভাল।
মাড়ির সমস্যায়
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতের সমস্যা মেটাতেও কার্যকরী জাম। এ ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের গুঁড়ো মাজন হিসেবে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।