চেন্নাই: চেন্নাই ঘরের মাঠে ২টি ম্যাচ জেতার পরে ২টি অ্যাওয়ে ম্যাচে পরাজিত হয়। কেকেআর হোম ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পরে একজোড়া অ্যাওয়ে ম্যাচে বিজয় পতাকা ওড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে লড়তে হলেও আত্মবিশ্বাসে খামতি থাকার কথা ছিল না শ্রেয়স আইয়ারদের। কিন্তু পিচটাই রিড করতে পারল না কলকাতার ব্যাটাররা।
ফিল সল্ট প্রথম বলে আউট হওয়ার পরও টিমকে খুব ভালো ভাবেই টেনে নিয়ে যাচ্ছিল রঘুবংশী এবং সুনীল নারিন। কিন্তু আজ জাদেজাসহ চেন্নাইয়ের বোলারদের সামনে ম্লান হয়ে গেল কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডার। জাদেজা ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিজের নামে করে নেন। এছাড়া তুষার দেশপান্ডে ৩টি, মুস্তাফিজুর রহমান ২টি এবং থিকসানা ১টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৮)
এদিনের ম্যাচে অধিনায়ক শ্রেয়স ৩২ বলে ৩৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার মারেন। রঘুবংশী, নারিন আর শ্রেয়স ছাড়া এদিন কারোর ব্যাটেই রান আসেনি। কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৭ রান তোলে। যা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে জেতা কার্যত অসম্ভব। হলও তাই। চেন্নাই (Chennai Super Kings) ৭ উইকেটে কেকেআরকে (Kolkata Knight Riders) হারিয়ে দিল। ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই। যার ফলে এই মরসুমে কেকেআরের প্রথম হার এই ম্যাচে।
প্রথম তিন ম্যাচে টপ অর্ডার ভালো পারফর্ম করায় জয় এসেছে। তবে এবার মিডল অর্ডার এবং বোলিং নিয়ে কেকেআরকে অবশ্যই ভাবতে হবে। চেন্নাইয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়ার্ড (৬৭ রান)।
কেকেআরের পরের ম্যাচ ১৪ এপ্রিল। সেদিন থেকে টানা পাঁচটি ম্যাচ ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসেই খেলবে কলকাতা। পরের ম্যাচে গুরবাজ এবং নীতিশ রানার প্রথম একাদশে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আরও খবর দেখুন