বহরমপুর: ভাগীরথী মিল্ক ফেডারেশনের চাষিদের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। শুক্রবার বহমপুরের ভাগীরথী মিল্ক কো অপারেটিভ অফিসে অধীরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। দুর্নীতির অভিযোগে ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন তিনি। আচমকাই জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে তাঁকে এবং কংগ্রেস কর্মীদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা।
ভাগীরথীর দুগ্ধ সমবায় সমিতির তরফে একটি সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। শুক্রবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অধীরের কনভয় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। সেখানেই গাড়ি থেকে নেমে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হেঁটে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন অধীর। সভাস্থলে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় কংগ্রেস কর্মীদের। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সভা করা যায় না। সভা ঘিরে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার জন্যই এই সভায় অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজভবনের সামনে ধরনায় সরকারপন্থী শিক্ষাবিদরা
পাল্টা অধীরের দাবি, জেলায় লক্ষ লক্ষ লিটার দুধ উৎপন্ন হচ্ছে। অথচ সেই দুধ সমবায়ে দিতে পারছে না তারা। কংগ্রেস ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিদিন ১ লক্ষ ৭০ হাজার লিটার দুধ কেনার ব্যবস্থা করেছিল। গত কয়েকবছরে সেই ভাগীরথী ইউনিয়নকে অলাভজনক সংস্থা দেখিয়ে বেচে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ কংগ্রেস করবেই। এই জেলার দুগধ চাষীদের রুটি রোজগার যাতে বন্ধ না করা হয় সেই আন্দোলন চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। কংগ্রেস আন্দোলন করবে বলে প্রশাসন মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা বলেন, কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। আমরা কোনও ঝামেলা করিনি। শুধু শুধু আমাদের আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই সংস্থার এমডি এবং জেলাশাসক চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অধীর বলেন, কংগ্রেস দুগ্ধচাষীদের পাশে থাকবে।