নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানা (Telangana) দখল প্রায় নিশ্চিত কংগ্রেসের। সকাল গড়াতেই শুরু হয়ে গেল কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। আনন্দ-উল্লাস। বাই বাই কেসিআর লেখা পোস্টার নিয়ে হায়দরাবাদের কংগ্রেস অফিসের সামনে কর্মীরা লাড্ডু বিলি শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে, শহরের বিলাসবহুল হোটেল তাজ কৃষ্ণের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল কয়েকটি বাস। কেন, এর জবাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি কিরণকুমার চামালা বলেন, আপনারা সবাই জানেন কেসিআরের বিধায়ক কেনার রাজনীতির কথা। তাই আমরাও তৈরি রয়েছি। যদিও ফলে গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে তার প্রয়োজন হবে না। তাও আমরা নিরাপদে থাকতে তৈরি।
সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই চার রাজ্যের ভোটগণনার কুয়াশা মোটামুটি কেটে যেতেই বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি, দাবি ও পাল্টা দাবির তরজা শুরু হয়ে গেল। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল সকলকে শুভকামনা জানিয়ে ফেললেন। যদিও সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস-বিজেপির কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই চলছে। সকালে যেদিকে ফলাফল এগোচ্ছিল একটু পরের দিকেই হাওয়া মোরগ ঘুরতে শুরু করেছে। ছত্তিশগড়ে এখন বিজেপি ৪৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস ৪০টিতে। বসপা একটিতে এগিয়ে। অন্যান্য ৩টিতে এগিয়ে।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এক্স বার্তায় জানিয়ে দিলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফিরছে। রবিবার চার রাজ্যের ভোটগণনার ফলাফলের গতিপ্রকৃতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বিজেপি ২-কংগ্রেস ২টি রাজ্যে জিততে চলেছ। যদি না ছত্তিশগড়ে শেষ মুহূর্তে পাশা উল্টে যায়। এরমধ্যে কংগ্রেস বিজেপির হাত থেকে কোনও রাজ্য ছিনিয়ে নিতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তারা শুধু তেলঙ্গানায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির কাছ থেকে কেসিআরের কুর্সি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হতে চলেছে। অন্যদিকে, বিজেপি কংগ্রেসের অশোক গেহলট সরকারের পতন ঘটাতে চলেছে। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি কুর্সি টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। আবার ছত্তিশগড়ে এখন সমানে সমানে টক্কর চলছে।
এদিকে, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস ফিরতে পারে এই অনুমান করে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক বিহার থেকে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির কর্মী-সমর্থকরা প্রচুর মাছ আর মিষ্টি নিয়ে রায়পুরে এসে হাজির হয়েছেন।