নয়াদিল্লি: জি ২০ সম্মেলনে অতিথি সৎকারের বিপুল খরচের বহর নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের দাবি অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ বিভ্রান্তিকর। যে টাকা খরচ হয়েছে, তার সঙ্গে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নও জড়িত রয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলি বিপুল পরিমাণে খরচের জন্য সরকারকে দুষেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এক্স বার্তায় লিখেছেন, যা ব্যয়বরাদ্দ ছিল তা ছাপিয়ে খরচ করা হয়েছে জি ২০ সম্মেলনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারকে অন্তত এবার দেশের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি ও মণিপুরের দিকে তাকাতে অনুরোধ করেছেন খাড়্গে।
প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর তরফে ফ্যাক্ট চেক পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি নস্যাৎ করে বলা হয়েছে, যা খরচ হয়েছে তা মূলত স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে। যদিও খাড়্গে লিখেছেন, ২০২৪ সালে বিজেপি সরকারের বিদায় আসন্ন। মানুষ বিজেপিকে বিতাড়িত করতে প্রস্তুত। আর মোদিজি সেই সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। খাড়্গে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, গত অগাস্টে এক থালা খাবারের দাম ২৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বেকারির হার ৮ শতাংশ। দেশের যুবসমাজ এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপালও এক টুইটে লিখেছেন, বাজেটে জি ২০ সম্মেলনের জন্য ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার খরচ করেছে ৪১০০ কোটি। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এই একই সম্মেলনে খরচ হয়েছিল মাত্র ৩৬৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: যে সকল রাশির জন্য শুভ হবে গণেশ চতুর্থী
সরকারের বক্তব্য, জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে একটি টুইটে দাবি করা হয়েছে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের ৩০০ শতাংশ বেশি খরচ করা হয়েছে। এই দাবি পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। পরিকাঠামোয় খরচ হওয়া অর্থের সঙ্গে জি ২০ সম্মেলনের ব্যয়ের সম্পর্ক নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের জাতীয় মুখপাত্র গোখেলের দাবি, জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার খরচ করেছে, ৪১০০ কোটি টাকা। এত টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
তিনি বলেছেন, অতিরিক্ত ৩১১০ কোটি টাকা বিজেপির ঘর থেকে দেওয়া উচিত। কারণ এটা পরিষ্কার অনাবশ্যক এই খরচ হয়েছে মোদির ব্যক্তি পরিচয়ের উদ্দেশ্যে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য ব্যক্তি প্রচার করা হয়েছে এই টাকায়।