লন্ডন: একসময় লাঠি হাতে গুলি, বারুদে সমৃদ্ধ গোরা সেনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এই দেশের সাধারণ মানুষ। তারপর কেটে গিয়েছে আড়াইশো বছরেরও বেশি সময়। এবার রুশ সেনাকে দেশ থেকে তাড়াতে ইংরেজ বাহিনী কিয়েভের মানুষকে এখন লাঠি হাতে যুদ্ধের কৌশল শেখাচ্ছেন। মহাশক্তিধর রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে হামলা শুরুর পর থেকে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। সেখানকার ইঞ্জিনিয়ার (engineer) সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ব্রিটেনে। ব্রিটিশ আর্মি (british army) বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি, সামনাসামনি যুদ্ধের প্রয়োজনে এবার লাঠি হাতে (lethal) যুদ্ধ করার দক্ষতাও শেখাচ্ছে।
রাশিয়ার বন্ধু ভারতও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার এই হামলার বিরুদ্ধে। তারা যুদ্ধও চায় না। আমেরিকা, জার্মানি সহ একাধিক পশ্চিমি দেশের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকও এবার মাতৃভূমি রক্ষায় সমরাস্ত্র নিয়ে শামিল হয়েছে। রাশিয়ার উচ্চ প্রশিক্ষিত সেনার সঙ্গে লড়তে ব্রিটেন থেকে প্রশিক্ষণ (training) নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। মিলিটারি গাড়ি উড়িয়ে দেওয়া, যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল, প্রাথমিক শুশ্রুষা শেখানো, বিস্ফোরণ ঘটানো থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়তে হবে সব কিছু তাদের শেখাচ্ছে ব্রিটিশ সেনা।
আরও পড়ুনNorth Korea fires missile: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া, অবরোধ জারি দক্ষিণের North Korea fires missile: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া, অবরোধ জারি দক্ষিণের
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০০-এর বেশি ইউক্রেনের সাধারণ বাসিন্দাকে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইংরেজরা। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, ১৯০০০ জনকে এধরনের কৌশল শেখানো হবে।
সহজ জয়ের কথা ভাবা রাশিয়া কোনওভাবেই ইউক্রেনকে পুরোপুরি কব্জায় আনতে পারছে না। বরং বড় ধরনের বাধা পেয়ে রাশিয়ার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হানায় প্রাণ যাচ্ছে ইউক্রেনের নিরীহ মানুষের। তাই এবার প্রয়োজনে লাঠি হাতেই এগিয়ে যাবে জেলেনস্কির দেশের মানুষ।
যুদ্ধে নামা ইউক্রেনের এক বাসিন্দা বলেন, রাশিয়ার দখলদারি শুরু হওয়ার আগে আমি সাধারণ একজন নাগরিক ছিলাম। এখন আমি পুরোপুরি যোদ্ধা। এক প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আমি আমার দেশের সাধারণ মানুষের এই হত্যালীলা দেখতে চাই না। তাই এই প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছি। কর্নেল কেম্পলি বুচাল স্মিথ নামে এক ব্রিটিশ সেনা কর্তা জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে টিকে থাকতে হবে, শত্রুর সঙ্গে সম্মুখ সমরে কীভাবে লড়তে হবে তা গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হয়েছে।