সোমবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রক৷ সেই চিঠি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আলাপনের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ মূলক আচরণ করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকে না থাকায় আলাপনের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন! মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী-মুখ্যসচিবই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দায়িত্বে। এব্যাপারে কেন্দ্রের পদক্ষেপ হাস্যকর।
আরও পড়ুন: ‘ভারত জিতলে নগ্ন হয়ে নাচতে পারি’
এখানেই থামেননি সৌগত রায়৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল৷ অথচ, অনুমতি ছাড়া কোনও আমলাকে ডেকে নিতে পারে না কেন্দ্র৷ কোনও অফিসারকে নিতে হলে রাজ্যের মত নিতে হয় কেন্দ্রকে। রাজ্য সরকারের অফিসারদের বিচলিত করতেই কেন্দ্রের পদক্ষেপ। স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে কেন্দ্র, এটা মনে করাতেই পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে দিচ্ছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: আমের কেজি লাখ টাকা, পাহারায় রক্ষী কুকুর
গতকাল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শৃঙ্খলাভঙ্গের জবাব চেয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রক৷ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে৷ সেই চিঠিতে দিয়ে বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে চিঠির উত্তর না এলে একতরফা ভাবেই আলাপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা চাইলে সশরীরে মন্ত্রকের কাছ চিঠির জবাব দিতে পারেন৷
কেন্দ্রের পাঠানো চিঠির জবাব না দিলে আলাপনে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে? কেন্দ্রের রুলবুক বলছে সেক্ষেত্রে অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তিনি৷